অবশেষে মুক্তি পেলেন হামাসের হাতে পণবন্দি থাকা শেষ আমেরিকান নাগরিক। বছর ২১-এর এডান অ্যালেক্সান্ডারের ঘরে ফেরা নিয়ে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দাবি, তাদের সেনার চাপেই ওই বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। হামাস অবশ্য এ দাবি নস্যাৎ করে বলেছে, আমেরিকার প্রশাসন ও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এডানও মুক্তি পাওয়ার পরে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আমেরিকাকে। নেতানিয়াহু তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করতে চাইলেও তাতে রাজি হননি তিনি।
দু’মাসের যুদ্ধবিরতি শেষ করে গত ১৮ মার্চ গাজ়ায় হামলা চালায় ইজ়রায়েল। তবে হামাস, আমেরিকা, কাতার ও মিশরের মধ্যে আলোচনা শুরুর পরে এডানকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানায় হামাস। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও তাঁর প্রতি এক ধরনের ‘ইতিবাচক ইঙ্গিত’ হিসেবে এই বন্দিমুক্তি বলে জানায় তারা।
এ দিন এডানের মুক্তি পাওয়ার পরে যখন ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, তখন হামাসও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানায়। একটি বিবৃতিতে তারা জানায়, এডানের মুক্তি-সহ বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে তারা যুদ্ধ বন্ধের প্রতি এক ধরনের বার্তা দিচ্ছে। বস্তুত, নিউ জার্সির টেনাফ্লির বাসিন্দা, বছর ২১-এর এডান ২০২২ সালে পড়াশোনা শেষ করে ইজ়রায়েলে গিয়ে সেখানকার সেনায় যোগ দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে এডানকে বন্দি করেছিল হামাস। এ দিন মুক্তি পাওয়ার পরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসিক ও শারীরিক ভাবে ‘বিধ্বস্ত’ তিনি। যদিও সরকারি সূত্রে এ বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।
এ দিকে, আজ ফের গাজ়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। অন্তত পাঁচ লক্ষ মানুষ অনাহারে ভুগছেন এবং যত দিন যাবে সেই সংখ্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞেরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)