ফাইল চিত্র। রয়টার্স।
বিস্ফোরক ঠাসা অ্যাম্বুল্যান্সে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পিছনে হাত রয়েছে আফগান তালিবান ঘনিষ্ঠ হাক্কানি গোষ্ঠীর— এমনটাই দাবি করেছে আমেরিকা। শনিবার কাবুলের ওই বিস্ফোরণে শতাধিক প্রাণ গিয়েছে। ওই দিনই ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল তালিবান। আফগানিস্তানে মার্কিন জোট বাহিনীর এক মুখপাত্র হাক্কানি গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন তার জন্য।
ক্যাপ্টেন টম গ্রেসব্যাক নামে ওই মুখপাত্রের বক্তব্য, ‘‘আমরা নিশ্চিত তালিবান হাক্কানি গোষ্ঠী শনিবারের বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক মার্কিন অফিসারেরও বক্তব্য, হাক্কানি গোষ্ঠীই বিস্ফোরণের জন্য দায়ী। আমেরিকা বহু দিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে, প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে হাক্কানি গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।
শনিবারের পরে গত কালও আর একটি বিস্ফোরণের সাক্ষী কাবুল। যার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালিবানের সঙ্গে কোনও আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না এই মুহূর্তে আমরা কথা বলার জন্য প্রস্তুত। ওরা যেমন তেমন করে নিরপরাধ মানুষ মারবে! আলোচনার একটা সময় হয়তো আসবে, কিন্তু তার ঢের দেরি আছে।’’
আফগানিস্তানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর জন্য গত বছর অগস্টে মার্কিন নীতি পুনর্বিবেচনা করেন ট্রাম্প। তাতে তালিবানের বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও তীব্র করার কথা ঘোষণা করেন। লড়াইয়ের ১৭ বছরে তাঁর লক্ষ্য ছিল, তালিবান-ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে ক্রমশ কোণঠাসা করে আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা। কিন্তু পর পর যে ভাবে হামলা হয়েছে, তাতে লড়াই কোন দিকে এগোবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকেই।
মার্কিন সরকারের এক পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের কতটা অংশ এখন তালিবানের কব্জায়, তা জানতে চেয়েছিল তারা। পেন্টাগন তা জানায়নি। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে আফগানিস্তান পুনর্গঠন সংক্রান্ত স্পেশ্যাল ইন্সপেক্টর জেনারেলের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, পেন্টাগন সংশ্লিষ্ট বিষয়টি এখন প্রকাশ করতে চাইছে না। যদিও গত বছর অবশ্য আফগানিস্তানের অনুরোধ মেনে ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, লড়াইয়ে কত আফগান সেনা বা রক্ষী প্রাণ হারাচ্ছে এবং জখম হচ্ছে, তা তারা জানাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy