ডোনাল্ড ট্রাম্পের মানসিক স্থিতাবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সাইকিয়াট্রি-র তিন নামজাদা মার্কিন অধ্যাপক। হার্ভার্ড-সহ একাধিক নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ওই তিন জনের মতে, গত জানুয়ারিতে ওয়াশিংটনে ওভাল অফিসের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ট্রাম্পের মানসিক পরীক্ষা প্রয়োজন। এ নিয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে একটি খোলা চিঠি লিখে আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা।
সাইকিয়ট্রি-র ওই তিন অধ্যাপক হলেন হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের জুডিথ হারম্যান, সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের ন্যানেট গারট্রেল এবং সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি মসবাখার। প্রেডিডেন্ট ইলেক্ট-এর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিন জনই। ওবামাকে একটি চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, ২০ জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগে ট্রাম্পের সম্পূর্ণ মানসিক পরীক্ষা করা হোক। পাশাপাশি, তাঁর নিউরোসাইকিয়াট্রিক মূল্যায়নেরও আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। চিঠিতে তাঁরা এ-ও জানিয়েছেন, পেশাগত বাধা থাকাতেই এমন কোনও বিখ্যাত ব্যক্তির পরীক্ষা করা যায় না যিনি ব্যক্তিগত ভাবে তাঁদের কাছে এসে চিকিৎসা করাননি।
আরও পড়ুন
চুরির ড্রোন ফেরত দিতে হবে না, চিনকে খোঁচা ট্রাম্পের
ট্রাম্পের মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা কোনও নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও মার্কিন ধনকুবেরের বিচারক্ষমতা ও মেজাজ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ওবামা। গত অগস্টে ট্রাম্পকে ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে অযোগ্য’ আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। সে মাসেই অক্সফোর্ডের এক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, অ্যাডলফ হিটলারের থেকেও ট্রাম্প আরও বেশি মনোবিকারগ্রস্ত।
নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকে অতিকথনের ফলে নিন্দিত হয়েছেন ট্রাম্প। এমনকী, বিরোধীদের সামান্য আক্রমণেও ধৈর্য হারিয়েছেন তিনি। জনসভায় যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা-ও ছিল অতিরঞ্জিত, অবাস্তব। ওই তিন অধ্যাপকই চিঠিতে জানিয়েছেন, এ সমস্ত দেখেশুনেই মনে হচ্ছে প্রেসিডেন্টের অফিস সামলাতে একেবারেই যোগ্য নন ট্রাম্প।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy