কথা হচ্ছিল বিদেশ নীতি নিয়ে। মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনকে বিঁধে বললেন, ‘‘সিরিয়া নিয়ে হিলারির যা নীতি, তাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেধে যেতে পারে। সিরিয়া, ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে নামতে হবে আমেরিকাকে।’’
ট্রাম্পের মতে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে গদিচ্যুত করার চেয়ে অনেক বেশি জরুরি আই এস জঙ্গিদের দমন করা। পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশ্ন তোলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘দানবের’ সঙ্গে তুলনা করার পরে হিলারি কী ভাবে তাঁর সঙ্গে আলোচনা চালাবেন? প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও এই সুযোগে একহাত নেন ট্রাম্প। ফিলিপিন্সের নয়া প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতের্তের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকায় ওবামাকে দুষেছেন ট্রাম্প। সমালোচনা করতে ছাড়েননি নিজের রিপাবলিকান দলের নেতাদেরও। একজোট হয়ে সব নেতা তাঁকে সমর্থন করলে ভোটে জেতা অনেক সহজ বলে দাবি ট্রাম্পের।
সিরিয়া প্রসঙ্গে নিউ ইয়র্কের এই ধনকুবের প্রার্থীর বক্তব্য, ‘‘আমাদের আইএস নিধনে মন দেওয়া উচিত। সিরিয়া নিয়ে ভাবা বন্ধ করতে হবে। কারণ যুদ্ধটা এখন শুধু সিরিয়ায় নয়। সিরিয়া, রাশিয়া, ইরান সবাই জড়িয়ে পড়েছে। রাশিয়া পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। সেটা মাথায় রাখতে হবে।’’ তবে ট্রাম্পের পর্যবেক্ষণ উড়িয়ে ক্লিন্টন শিবিরের দাবি, ‘‘উনি তো পুতিনের শেখানো বুলি বলছেন। মার্কিন নাগরিকদের ভয় দেখাচ্ছেন। সিরিয়াকে গৃহযুদ্ধ থেকে রেহাই দেওয়া বা আইএসকে নিয়ন্ত্রণের মতো জুতসই পরিকল্পনা নেই ওঁর।’’ ট্রাম্পের যুক্তি, ‘‘এই মুহূর্তে আমার কাছে আসাদ অত গুরুত্বপূর্ণ নন। তিন বছর আগে আসাদ যা ছিলেন, তার তুলনায় এখন উনি অনেক শক্তিশালী। তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার আগে আইএসকে হটাতে হবে।’’
ভোটের দু’সপ্তাহ আগে এই সাক্ষাৎকারে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী। তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্য, ‘‘যদি আমি জিতি, তা হলেই এই নির্বাচনের ফলাফল স্বীকার করব,’’ নিয়ে সমালোচনার পরেও পিছু হটছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy