Advertisement
E-Paper

পাকিস্তানে ৬৪ বছর পর নতুন করে গড়া হবে জীর্ণ হিন্দু মন্দির, ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করল সরকার

আপাতত মন্দির চত্বরের আড়াই বিঘা জমিতে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। মন্দিরের পুরনো প্রাচীরটিও নতুন করে গড়া হবে। সংস্কারের পর মন্দিরটির রক্ষণাবেক্ষণের ভার তুলে দেওয়া হবে পাক ধর্মস্থান কমিটির হাতে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৫৪

— প্রতীকী ছবি।

পাকিস্তানে ৬৪ বছর পর নতুন করে গড়া হবে প্রাচীন হিন্দু মন্দির! সে নিয়ে তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে। মন্দির নির্মাণে ইতিমধ্যেই প্রায় ১ কোটি পাকিস্তানি রুপি বরাদ্দ করেছে সরকার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার সমান।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে ইরাবতীর পশ্চিম তীরে নারওয়াল জেলার জাফরওয়াল শহর। সেখানেই রয়েছে ৬৪ বছর পুরনো ওই বাওলি সাহিবের মন্দির। পাকিস্তানের ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড (ইটিপিবি) সূত্রে খবর, ১৯৬০ সালে শেষ বার ওই মন্দিরে উপাসনা হয়েছিল। তার পর থেকে এত দিন জীর্ণ, পরিত্যক্ত অবস্থাতেই পড়ে ছিল মন্দিরটি। এ বার সেটিকেই ফের পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে গোটা নারওয়াল জেলায় একটিও হিন্দু মন্দির নেই। ফলে সে জেলার সংখ্যালঘু হিন্দুরা বাড়িতেই পূজার্চনা করেন। কেউ কেউ আবার উপাসনার জন্য বাধ্য হয়ে সুদূর শিয়ালকোট কিংবা লাহোরের মন্দিরে যান। এই পরিস্থিতির জন্য অবশ্য ইটিপিবিকেই দায়ী করছেন পাক ধর্মস্থান কমিটির প্রাক্তন সভাপতি রতন লাল আর্য। তিনি বলছেন, ‘‘ইটিপিবির আওতায় আসার পরেই বাওলি সাহিব মন্দিরে পুজো বন্ধ হয়ে যায়। নারওয়ালে প্রায় ১,৪৫৩-রও বেশি হিন্দুর বাস। অথচ, সেই থেকে এত বছর ধরে গোটা জেলায় তাঁদের জন্য একটাও মন্দির নেই।’’ পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানে অন্তত ৭৫ লক্ষ হিন্দুর বাস। স্বাধীন দেশ পাকিস্তান তৈরি হওয়ার পরেও নারওয়াল জেলায় সরকারি হিসাবে অন্তত ৪৫টি হিন্দু মন্দির ছিল। কিন্তু কালের নিয়মে একে একে সব মন্দিরই ভগ্ন, অকার্যকর হয়ে পড়েছে। রতন জানান, গত ২০ বছর ধরে লাগাতার বাওলি সাহিবের মন্দিরটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে এসেছে পাক ধর্মস্থান কমিটি। এ বার সংখ্যালঘুদের সেই দাবি মেনেই মন্দির সংস্কারের কাজে হাত দিল পাক-সরকার।

আপাতত মন্দির চত্বরের আড়াই বিঘা জমিতে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। মন্দিরের পুরনো প্রাচীরটিও নতুন করে গড়া হবে। সংস্কারের পর মন্দিরটির রক্ষণাবেক্ষণের ভার তুলে দেওয়া হবে পাক ধর্মস্থান কমিটির হাতে। গোটা প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের একক সদস্য কমিশনের চেয়ারম্যান শোয়েব সিদ্দল এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মনসুর মসীহ। পাক ধর্মস্থান কমিটির সভাপতি সাওয়ান চন্দ বলেছেন, ‘‘মন্দির পুনর্নির্মাণ হলে নারওয়ালের হিন্দুদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে। তাদের ধর্মীয় আচার পালনের জন্য বহু দূর পাড়ি দিয়ে অন্য জেলায় যেতে হবে না।’’

Pakistan Hindu temple
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy