খুশি: কিশোর ফুটবলারদের দেখে সাধারণ মানুষের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স।
ছোট ছোট ১২টি ছেলে ও তাদের তরুণ কোচের সতেরো দিনের গুহাবন্দি জীবন। এবং তাদের প্রাণরক্ষার জন্য তিন দিনের এক দুঃসাহসী অভিযান। তাইল্যান্ডের থাম লুয়াং ন্যাং গুহা থেকে ‘ওয়াইল্ড বোরস’ ফুটবল দলের ১২ সদস্য ও কোচকে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে ছবির গল্প বুনতে চান হলিউডের দুই প্রযোজক মাইকেল স্কট ও অ্যাডাম স্মিথ।
উদ্ধার কাজ স্বচক্ষে দেখতে তাই গুহার বাইরে হাজির হয়েছেন তাঁরা। ‘‘আমি তো একটা হিট ছবির গল্প দেখতে পারছি’’, বলেই ফেললেন স্কট। গুহার বাইরে উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের সঙ্গে তাই প্রাথমিক কথাবার্তার কাজটা সেরে রাখছেন দু’জন। কথা বলছেন উদ্ধার হওয়া কিশোরদের পরিবারের সঙ্গেও। অধীর উৎকণ্ঠায় এত দিন গুহার বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। আজ মোট ১৩ জনই উদ্ধার হওয়ার পর স্বস্তির হাসি সবার মুখে। স্মিথ বলছেন, ‘‘ছবির গল্প হিসেবে দারুণ প্রেক্ষাপট। চমৎকার চিত্রনাট্য। আমরা তাই আগেভাগেই চলে এসেছি। অন্যান্য প্রযোজক, পরিচালকরা যে কোনও সময়ে চলে আসতে পারেন।’’
মার্কিন প্রযোজক স্কটের স্ত্রী তাইল্যান্ডের বাসিন্দা। সে জন্য বছরের তিন মাস তাইল্যান্ডে থাকেন তিনি। স্কট জানাচ্ছেন, স্বাভাবিক ভাবেই সবাই উদ্বেগে ছিলেন এত দিন। তাই কাউকে জোর করে কোনও প্রশ্ন করেননি তিনি। তাঁর সংস্থা ‘পিওর ফ্লিক্স ফিল্ম’ কাজ করে মূলত অ্যারিজ়োনা ও লস অ্যাঞ্জেলেসে। এখনও অবধি তাঁদের বানানো সবচেয়ে বড় ছবি ‘গড’স নট ডেড’। ২০১৪ সালে তৈরি এই ছবিটি ৭ কোটি ডলার ব্যবসা করেছিল।
স্কট জানিয়েছেন, তাঁর ছবির কেন্দ্রে থাকবেন দুই ব্রিটিশ ডুবুরি। যাঁরা প্রথম ওই নিখোঁজ ১৩ জনের সন্ধান পেয়েছিলেন। ২৩ জুন থেকে তাইল্যান্ডের থাম লুয়াং ন্যাং গুহায় আটকে ছিল তারা। স্কটের কথায়, ‘‘এই গল্প বীরত্ব ও সাহসিকতার। আমাদের পরবর্তী প্রকল্পের জন্য যা আদর্শ। অবিশ্বাস্য এই অভিযান সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।’’ ব্যাঙ্ককে ‘কেএওএস এন্টারটেনমেন্ট’ নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা আছে স্মিথের। তিনি বলেছেন, ‘‘এখানে কোনও রাজনীতি নেই। কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। প্রত্যেকেই এক চেষ্টা করছেন। প্রত্যেকেই এক প্রার্থনা করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy