মং কক থানার কাছে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। রয়টার্স
বিমানবন্দরে যাওয়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি গত কালই দিয়ে রেখেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু নজিরবিহীন নিরাপত্তায় আজ গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীদের সেই প্রচেষ্টা কার্যত ব্যর্থ করে দিল হংকংয়ের দাঙ্গা দমনকারী পুলিশ। ফলে আজ উড়ান পরিষেবায় শহরবাসীর বিক্ষোভের আঁচ সে ভাবে পড়তে পারেনি। তবে বিভিন্ন সাবওয়ে স্টেশন এবং অন্য এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গোলমাল বাধানোর চেষ্টায় বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে গ্রেফতারও করা হয়েছে বেশ কয়েক জনকে।
কাল রাতেই হংকং ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। কাওলুন উপদ্বীপে গত কাল সন্ধে থেকেই পরিস্থিতি ছিল অশান্ত। বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের দখল নেন কালো টি-শার্ট পরা বিক্ষোভকারীরা। বেশ কয়েকটি এলাকায় রাস্তায় টায়ার পোড়ানো হয়। দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা হয় চিন-বিরোধী বার্তা। সেই সঙ্গে কাল থেকেই বিক্ষোভকারীরা বিমানবন্দরে আন্দোলন কর্মসূচির আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখায় আজ সকালে হংকং শহরকে প্রায় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছিল দাঙ্গা দমনকারী পুলিশ।
সাধারণ মানুষের বিমানবন্দর যাওয়ার সম্ভাব্য যাতায়াতের পথে আজ দিনভর ছিল বিশেষ নজরদারি। ফেরি ঘাট, বাস টার্মিনাসে দফায় দফায় চলেছে মালপত্র পরীক্ষা। ঝামেলা এড়াতে এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস
চলেছে শুধুমাত্র হংকং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত। মাঝপথে একটা স্টেশনেও দাঁড়ায়নি ওই ট্রেন। বিমানবন্দরে ঢোকার মুখেও আজ ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
টিকিট না থাকলে মূল ফটকে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। বিকেলের দিকে বিমানবন্দরের গেটে দুই তরুণের ব্যাগ পরীক্ষা করে তাতে মুখোশ পায় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের হাতকড়া পরিয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গোলমাল বাধানোর জন্যই ওই দুই তরুণ বিমানবন্দরে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন বলে পুলিশের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy