Advertisement
E-Paper

চার দিন হয়ে গেলেও সংযমের লক্ষণ নেই! ইরান-ইজ়রায়েলের যুদ্ধ কবে থামবে? ট্রাম্পের উপরেই কি সব নির্ভর করছে?

ইরান ‘পারমাণবিক শক্তিবৃদ্ধি’ করে চলেছে, এই আশঙ্কা থেকেই তাদের উপর এ বার হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। অন্তত তেমনটাই দাবি তাদের। তেল আভিভের বক্তব্য, ইরানের হাতে পরমাণু অস্ত্র এলে অস্তিত্বসঙ্কটে পড়বেন ইহুদিরা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৫ ২৩:০২
(বাঁ দিক থেকে) আয়াতোল্লা আলি খামেনেই, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

(বাঁ দিক থেকে) আয়াতোল্লা আলি খামেনেই, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

সংযমের কোনও লক্ষণই নেই! ইজ়রায়েল তাদের ‘সিংহ গর্জন’ (অপারেশন রাইজ়িং লায়ন) থামাবে না। ইরানও বুঝিয়ে দিয়েছে, তাদের পক্ষেও আত্মসমর্পণ করা সম্ভব নয়। ফলে গত বছরের মতো এ বার আর ইরান-ইজ়রায়েল সংঘর্ষ কয়েক দিনের মধ্যে থেমে যাবে না। অন্তত তেমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, তা হলে ইরান-ইজ়রায়েলের যুদ্ধ কবে থামবে? কারণ এ কথা তর্কাতীত যে, সংঘাত শীঘ্রই না থামলে আরও ডামাডোলের দিকে এগিয়ে যাবে পশ্চিম এশিয়ার ভূ-রাজনীতি। এ ক্ষেত্রে অনেকেরই মত, সবটাই নির্ভর করছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানের উপর।

ইরান ‘পারমাণবিক শক্তিবৃদ্ধি’ করে চলেছে, এই আশঙ্কা থেকেই তাদের উপর এ বার হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। অন্তত তেমনটাই দাবি তাদের। তেল আভিভের বক্তব্য, ইরানের হাতে পরমাণু অস্ত্র এলে অস্তিত্বসঙ্কটে পড়বেন ইহুদিরা। সেই কারণেই তারা ইরানে হামলা চালিয়েছে। তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুও মূলত ইরানের পরমাণুকেন্দ্র এবং সামরিক ঘাঁটি। যত ক্ষণ না তেহরান তাদের পারমাণবিক শক্তিবৃদ্ধির কর্মসূচি থামাচ্ছে, তেল আভিভ চুপ থাকবে না।

কারও কারও আবার দাবি, শুধু পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত বিষয় নয়, ইজ়রায়েল এবং আমেরিকা দুই দেশই চাইছে ইরানের ৪৬ বছরের ইসলামিক শাসনকে শেষ করে দিতে! যদিও ইজ়রায়েল বা আমেরিকা কোনও দেশই প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দাবির সমর্থন করেনি। বরাবরই তারা ইরানের ‘পারমাণবিক শক্তিবৃদ্ধি’ নিয়েই আপত্তি তুলে গিয়েছে।

ইরান অবশ্য প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছে, তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে না। তবে পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের অধিকার তাদেরও আছে। ‘নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন’ চুক্তি মেনেই তারা ইউরেনিয়ামের বিশুদ্ধতা বাড়িয়েছে। কিন্তু তাতে আশঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, ইউরেনিয়ামের বিশুদ্ধতা ততটাই বাড়ানো হয়েছে, যতটা গবেষণার কাজে লাগে। পরমাণু প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ওষুধ তৈরির চেষ্টা চলছে, যা ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের কাজে লাগবে বলেই দাবি করেছে ইরান। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তেহরানের অভিযোগ, ইজ়রায়েল বেআইনি ভাবে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। তাই আত্মরক্ষার্থে তারাও বাধ্য হয়েছে প্রত্যাঘাত করতে। ইজ়রায়েল ক্রমাগত হামলা চালিয়ে গেলে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে তাদেরও জবাব দিতে হবে।

যদিও আমেরিকার সংবাদপত্র ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ দাবি করেছে, ইরান সংঘর্ষবিরতির বার্তা দিয়েছে। পরমাণু প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চেয়ে আরবের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আমেরিকা এবং ইজ়রায়েল দুই দেশকেই তারা বার্তা পাঠিয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন সংবাদপত্রটি। তবে তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান শর্তও দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, আমেরিকা এই সংঘর্ষে সরাসরি যোগ দেবে না, এ কথা নিশ্চিত করলে তবেই আলোচনায় বসতে রাজি তারা। আরবের এক আধিকারিক ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-কে বলেছেন, ‘‘ইরানিরা জানেন যে, আমেরিকা ইজ়রায়েলকে প্রতিরক্ষায় সাহায্য করছে। শুধু তা-ই নয়, অস্ত্র দিয়েও যে সাহায্য করছে, সে কথাও তাঁরা জানেন। কিন্তু তাঁরা চাইছেন, আমেরিকা যাতে তাঁদের উপর আক্রমণ না করে। আমেরিকা এটা নিশ্চিত করলে তবেই তারা আলোচনায় বসতে রাজি।’’

ওয়াকিবহাল মহলের মত, সবটাই নির্ভর করছে আমেরিকার ভূমিকার উপর। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরান-ইজ়রায়েল সংঘর্ষ থেকে ‘দূরত্ব’ বজায় রাখবেন না কি সরাসরি যুদ্ধে যোগ দেবেন, তার উপরেই নির্ভর করছে ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাত কত দিন জারি থাকবে। ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, তিনি ইরানের উপর ইজ়রায়েলি হামলার কথা আগে থেকে জানতেন। কিন্তু আমেরিকা এখনও কোনও রকম সংঘর্ষে সরাসরি জড়িত নয়। দু’দেশের মধ্যে সমঝোতারও বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে একই সঙ্গে তিনি ইরানকে বলে রেখেছেন, আমেরিকার উপর কোনও রকম আঘাত এলে তারাও চুপ থাকবে না।

আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর পেন্টাগনের প্রাক্তন কর্মী ড্যানিয়েল বি শার্পো সংবাদপত্র ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-কে বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, এই সংঘর্ষে কয়েক দিনের মধ্যে থামবে না। যুদ্ধ থামতে বেশ কয়েকটা সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।’’ চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই কাজ করতেন ড্যানিয়েল। তাঁর মত, ‘‘আমেরিকা যুদ্ধে যোগ দেবে কি না, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া ট্রাম্পের পক্ষে সহজ হবে না। যদি না ইরান তাদের বাধ্য করে।’’ সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসনের এক আধিকারিকও বলেছেন, ‘‘এই বিবাদ মিটতে পারে একমাত্র আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই।’’

অনেকের দাবি, ইজ়রায়েল চাইছে আমেরিকা যুদ্ধে যোগ দিক। কারণ, তারাও জানে, তাদের একার পক্ষে ইরানের পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস করা সম্ভব নয়। তাদের সেই অস্ত্র নেই। এর জন্য আমেরিকার সাহায্য প্রয়োজন। যদিও ইজ়রায়েল এই সংক্রান্ত দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। এক ইজ়রায়েলি আধিকারিক সিএনএন-কে বলেছেন, ‘‘আমেরিকা এই যুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিলে তাদের আটকানো সম্ভব নয়। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তাদের নিজেদের। ইজ়রায়েলের এখানে কিছু করার নেই।’’

কী হল গত ২৪ ঘণ্টায়?

সোমবার চতুর্থ দিনে পড়ল ইরান-ইজ়রায়েল সংঘর্ষ। রবিবার রাতেও তেহরানে হামলা চলেছে। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে তেহরানের ৮০টি জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। তাদের হামলায় ইরানে অন্তত ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম প্রায় ১২০০। এমনটাই জানিয়েছে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অন্য দিকে, সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইজ়রায়েলে এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম অন্তত ৫০০ জন। গত চার দিনে ইরানও ইজ়রায়েলের দিকে প্রায় ৩৭০ বার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সংবাদপত্র ‘দ্য ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল’ জানিয়েছে তেহরানের লক্ষ্য ছিল ইজ়রায়েলের ৩০টিরও বেশি এলাকা। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি, গত চার দিনে ইজ়রায়েলি হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের নাতানজ়, এসফাহান, আরক, ফরডৌয়ের পরমাণুকেন্দ্র। মোসাদের ড্রোনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেহরানের ব্যালিস্টিক মিসাইলের ঘাঁটি, পিরানশাহেরের সেনাঘাঁটিও। এ ছাড়াও তেহরানের আজ়গলের মতো জনবসতিতেও ইজ়রায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়েছে। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে উত্তর তেহরানের ওয়ান হোল্ডিং টাওয়ার, ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্ট বিল্ডিংও। ইরানও ইজ়রায়েলের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি এবং কূটনৈতিক কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকায় আঘাত করেছে। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি, ইরানীয় ক্ষেপণাস্ত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেল আভিভে ইজ়রায়েলি সেনার সদর দফতর ‘দ্য কিরিয়া’, গবেষণাকেন্দ্র ‘ওয়েইজ়মান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স’ এবং হাইফা শহরের বাজ়ান তৈলশোধনাগার কেন্দ্র। এ ছাড়াও তেল আভিভের বাট ইয়াম, রমাত গানের মতো জনবসতি এলাকার বহু ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানীয় ক্ষেপণাস্ত্রে। উল্লেখ্য, ইজ়রায়েলের এই হাইফা বন্দরটি ভারতের আদানি গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত। রবিবার হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। আদানিরা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, বন্দর এখনও সক্রিয় আছে। তবে সোমবারের হামলার পর এই বন্দরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়।

নেতানিয়াহুর দাবি

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ইরানের ‘পয়লা নম্বর শত্রু’ বলে দাবি করেছেন। এ-ও দাবি করেন যে, ইরান তাঁকেও হত্যার চেষ্টা করেছে। নেতানিয়াহু বলেন, “ওরা (ইরান) তাঁকে (ট্রাম্প) খুন করতে চায়। উনি শক্তিশালী নেতা। অন্যদের মতো উনি দুর্বল কোনও শর্ত নিয়ে ইরানের সঙ্গে দর কষাকষির পথে হাঁটেননি। উনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, আপনাদের কাছে পরমাণু অস্ত্র থাকতে পারে না। অর্থাৎ আপনি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালাতে পারেন না।” ঘটনাচক্রে, নেতানিয়াহুর ওই মন্তব্যের ঠিক আগে ট্রাম্প প্রশাসনের দুই আধিকারিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কাছে দাবি করেছিলেন যে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনেইকে সম্প্রতি হত্যার ছক কষেছিল ইজ়রায়েল! কিন্তু তাতে আপত্তি জানান ট্রাম্প। নেতানিয়াহুও ওই দাবি অস্বীকার করেছেন। ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেক ভুয়ো খবর ছড়ায়, যা নিয়ে কখনও কথাবার্তাই হয়নি। আমি এটি নিয়ে ভাবতে চাই না।”

চুক্তি থেকে বেরোতে চাইছে ইরান!

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। সোমবার এই খবর জানিয়েছেন সে দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ইসমাইল বঘাই। তিনি জানিয়েছেন, ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ইরানের পার্লামেন্টে একটি বিল পেশ করা হবে। ইতিমধ্যেই সেই বিল তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে একই সঙ্গে তেহরান জানিয়েছে, তারা ধ্বংসের জন্য অস্ত্র বানানোর বিরোধিতা করে যাবে। এই চুক্তি অনুসারে পরমাণু শক্তিধর কোনও দেশ অন্য কোনও দেশকে পারমাণবিক অস্ত্র তো বটেই, এই প্রযুক্তিও তুলে দিতে পারে না। পরমাণু শক্তিধর নয়, এমন দেশগুলি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করলে পরমাণু অস্ত্র তৈরি না করা এবং অন্য কারও কাছ থেকে না-নেওয়ার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। ষাটের দশকের শেষে যখন এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে, তখন মাত্র পাঁচটি দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র ছিল। দেশগুলি হল আমেরিকা, রাশিয়া (তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন), ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং চিন। পরে অবশ্য একাধিক দেশ পরমাণু অস্ত্রধর হয়ে ওঠে। এখনও পর্যন্ত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ১৯১টি দেশ। তবে ঘোষিত পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও এনপিটি-তে স্বাক্ষর করেনি ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া, ইজ়রায়েল।

‘ফেরত পাঠান ভারতীয় পড়ুয়াদের’

ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার পরেই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অন্তত ১০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়ার পরিবারের মানুষজন। কারণ, এত সংখ্যক পড়ুয়া ইরানের নানা শহরে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই ওই পড়ুয়াদের নিরাপদে ভারতে ফেরত পাঠানোর জন্য তেহরানের কাছে আর্জি জানিয়েছে নয়াদিল্লি। প্রত্যুত্তরে ইরান জানিয়েছে, আকাশপথ বন্ধ থাকায় আপাতত বিমানে ভারতে যাওয়ার উপায় নেই। তবে স্থলবন্দর দিয়ে ইরান ছাড়তে পারবেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। সে ক্ষেত্রে আজ়ারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান এবং আফগানিস্থান হয়ে স্থলপথে ভারতে ফিরতে পারবেন ওই পড়ুয়ারা।

Iran Israel Conflict Donald Trump USA Iran israel Benjamin Netanyahu
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy