Advertisement
E-Paper

Russia Ukraine Conflict: প্রায় দু’মাস আটকে থাকার পর ইস্পাত কারখানার বাঙ্কার থেকে উদ্ধার শতাধিক ইউক্রেনীয়

প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের উত্তর-পশ্চিমের দিকে পাঠানো হয়েছে। এখনও কয়েকশো মানুষ কারখানার নীচে টানেলের অন্ধকারে আটকে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২২ ০৬:১৭
উদ্ধারকাজ চলছে আজ়ভস্টল ইস্পাত কারখানায়।

উদ্ধারকাজ চলছে আজ়ভস্টল ইস্পাত কারখানায়। ছবি রয়টার্স।

শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হল মারিয়ুপোলের আজ়ভস্টল ইস্পাত কারখানা থেকে। স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা ও চিকিৎসকেরা তৈরিই ছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের উত্তর-পশ্চিমের দিকে পাঠানো হয়েছে। এখনও কয়েকশো মানুষ কারখানার নীচে টানেলের অন্ধকারে আটকে। অন্তত পাঁচশো সেনা জখম অবস্থায় রয়েছেন। জল নেই, খাবার নেই, অক্সিজেনেরও অভাব। এ দিকে, আজ উদ্ধারকাজ শেষ হতেই ফের গোলাবর্ষণ শুরু করেছে রাশিয়া।

১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত আজ়ভস্টল কারখানার নীচে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন হাজারের কাছাকাছি মানুষ। কারখানার নীচে টানেলের মতো এঁকেবেঁকে গিয়েছে পথ। মাঝে মাঝে ঘর। সে সব ঠিক বাসযোগ্য নয়। বাঙ্কার যেমন হয়, তেমনই। তাতেই কোনও মতে বেঁচে থাকা। আজ উদ্ধারকাজে পুরোদমে সাহায্য করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও রেড ক্রস। কারখানা থেকে বেরনোর পরে তাঁদের নিজেদের গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রয়োজনীয় কিছু নেওয়ার থাকলে তাঁরা নিয়ে নেন। অনেকে নিজেদের গাড়িতেই জ়াপোরিজ়িয়ার দিকে রওনা হন। সে সব গাড়ির হয়তো উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে গিয়েছে। জানলা-দরজার কিছু ভাঙা। টেপ ও প্লাস্টিক-শিট দিয়ে সে সব জোড়াতালি লাগিয়ে তাতেই রওনা হয়েছে এক-একটি পরিবার। মানব করিডর ধরে এগনোর সময়ে অবশ্য রাষ্ট্রপুঞ্জের গাড়ি নিরাপত্তা দিয়েছে।

দু’মাসের বেশি কারখানার নীচে বাঙ্কারে পরিবারের সঙ্গে আটকে ছিলেন নাতালিয়া উসমানোভা। উদ্ধারের পরে আজ বললেন, ‘‘ক্রমাগত বোমা পড়ত। এত ভয় করত, যে কারখানার নীচে আশ্রয় নিয়েছিলাম।’’ খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে স্বামীর দিকে তাকিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘আর ব্যাগের ভিতরে প্রস্রাব করতে হবে না। এ বার মানুষের মতো বাঁচতে পারব।’’

Russia Ukraine War
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy