বড়দিনে: বাকিংহাম প্যালেসে বসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁর পিছনেই সেই সোনালি পিয়ানো। গেটি ইমেজেস
বাকিংহাম থেকে প্রতি বছরই বড়দিনে বিশেষ বার্তা দেন রানি। সেটাই রাজকীয় রীতি। কিন্তু এ বার হিতে বিপরীত হল সোনার পিয়ানোয়!
দ্বিতীয় এলিজাবেথের কথা ছাপিয়ে নজর কেড়ে নিল ভিডিয়োয় তাঁর পিছনে সোনার পিয়ানোটি। ব্রিটেন তো বটেই, সারা পৃথিবী জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে তাই নিয়ে চর্চা। ৯২ বছরের বৃদ্ধার পক্ষে খবরটা ভাল নয়, কারণ সেই চর্চার বেশিটাই সমালোচনা, বিদ্রুপ এবং টিপ্পনী। এক সময় মানুষ যে হাঁ করে রাজকীয় প্রাচুর্যের দিকে তাকিয়ে থাকত, সে দিন গিয়াছে— সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকালেই মালুম হচ্ছে তা।
কেউ বলছেন, করদাতাদের টাকায় প্রাসাদে বসে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ঐশ্বর্যের এই দেখনদারির নিন্দা ছাড়া কিছু প্রাপ্য নয়। কেউ রানির জবানিতে নিজের কথা বসিয়ে বলছেন, ‘‘কত মানুষ খেতে পাচ্ছে না। রাস্তায় শুয়ে আছে! তাদের মন একটু অন্য দিকে ঘোরাতে এই দেখুন হাজির করেছি সোনার পিয়ানো!’’ কেউ তিক্ত সুরে বলেছেন, পিয়ানোটা নিশ্চয় রানির চেয়েও বয়সে বড়! কেউ ফুট কাটছেন, আগামী বছর সোনার টুপিও পরে ফেলুন!
রানি তাঁর বার্তায় জনগণের কথা বললেও ওই পিয়ানো আসলে জনতার সঙ্গে তাঁর দূরত্বই বুঝিয়ে দিচ্ছে— এই হল নেটিজেনদের রায়। রানি এমনিতে কথা বলেছেন অবশ্য ব্রেক্সিট ও ব্যয়সঙ্কোচ নিয়ে! তার পরে হালকা চালে বলেছেন, তাঁর ‘তুমুল ব্যস্ততার’ কথা। পরিবারে পরপর বিয়ে, নাতি-নাতনির ভরা সংসারে তাঁর দম ফেলার ফুরসত নেই। তবে এ নিয়েও নানা জনে নানা কথা বলতে কসুর করেননি। কিছু দিন আগে গুজব রটেছিল, দুই বৌমা অর্থাৎ কেট মিডলটন আর মেগান মার্কলের নাকি বনছে না! বাকিংহাম সে গুজব ওড়ালেও গুঞ্জন থামেনি। সুখী সংসারের ছবি এঁকে রানি বিষয়টা ফের চাপা দিতে চাইলেন বলে কারও কারও মত। তবে বড়দিনে গির্জার পথে এ বার দুই যুবরানিকে একসঙ্গে বেশ হাসিখুশিই দেখাচ্ছিল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy