ছবি: সংগৃহীত।
আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে বিশ্বে টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে আলোচনায় বসতে চলেছে ভারত, চিন এবং রাশিয়া। আগামী ১৩ তারিখ বিশকেক-এ শুরু হচ্ছে এসসিও সম্মেলন। সূত্রের খবর, ওই সম্মেলনের ফাঁকে ‘নয়া বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থা’ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠক করবেন তিন দেশের নেতারা।
ভারতের উপর থেকে ‘জেনারেইলাজড ট্রেডিং প্রেফারেন্স’-এর সুবিধা প্রত্যাহার করেছে আমেরিকা। যা নরেন্দ্র মোদীর সরকারের কাছে নিঃসন্দেহে দুঃসংবাদ। বেজিংয়ের উপর আরও চাপ বাড়াতে আমেরিকা ২০,০০০ কোটি ডলার চিনা পণ্যের উপর শুল্ক বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করেছে। ফলে বাড়ছে শুল্ক-যুদ্ধের উত্তাপ।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক অর্থনীতিতে মার্কিন প্রশাসনের একতরফা সংরক্ষণবাদী অর্থনীতি ও তার আন্তর্জাতিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করবেন এসসিও-র নেতারা। ত্রিদেশীয় আলোচনায় চিন উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মতামত এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাবে। সাউথ ব্লকের একটি সূত্রের খবর, এ ধরনের একতরফা সংরক্ষণবাদী মানসিকতার কারণে যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তা মোকাবিলার জন্য সকলকে একসঙ্গে আনার চেষ্টা হবে। আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক-যুদ্ধ নিয়ে চিন মধ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে কথা শুরু করেছে। চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং জানিয়েছেন, আমেরিকা লড়তে চাইলে, তাঁরাও শেষ পর্যন্ত লড়বেন। ভারত প্রকাশ্যে এমন কোনও হুঁশিয়ারি দেয়নি। গত কালই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার বলেছেন, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে আমাদের কৌশলগত সম্পর্ক মজবুত। অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে সরকারের ভিতরে এবং আমেরিকার সঙ্গে ক্রমাগত আলোচনা চলছে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক বিষয়ে মাঝেমধ্যে সঙ্কট আসে। সমাধানও হয়।’’ সূত্রের খবর, আপাতত যুদ্ধংদেহী আচরণ না-দেখালেও বেজিং এবং মস্কোর সঙ্গে অক্ষ গড়ে পরোক্ষে ওয়াশিংটনকে চাপে রাখতে চাইছে নয়াদিল্লি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy