কানাডার ব্র্যাম্পটনে একটি হিন্দু মন্দিরে খলিস্তানি চরমপন্থীদের হামলার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অস্ট্রেলিয়া সফররত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আজ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। সাউথ ব্লকের বার্তা স্পষ্ট, প্রতি
পদে সর্বশক্তি দিয়ে কানাডার খলিস্তানিদের আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টার বিরোধিতা করা হবে।
অস্ট্রেলিয়া সফররত বিদেশমন্ত্রী আজ এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা গভীর উদ্বেগজনক। আপনারা দেখেছেন এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব এবং বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের বিবৃতি। আমরা কতটা আহত, সেই বার্তা আপনাদের কাছে যাওয়া উচিত’। তিনি জানান, কানাডায় যে ভাবে ভারতীয় কূটনীতিকদের উপরে নজরদারি করা হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। জয়শঙ্করের কথায়, ‘তথ্য ও প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করার নকশা তৈরি করেছে কানাডা। আমাদের ধারণা, কানাডায় চরমপন্থী শক্তিকে রাজনৈতিক পরিসর দেওয়া হচ্ছে।’’
কানাডা নিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওং। তিনি বলেন, ‘‘দেশ নির্বিশেষে ধর্মবিশ্বাস, সংস্কৃতি নিরাপদ থাকা উচিত। কানাডার ঘটনা ভারতের পক্ষে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।’’
আগামিকাল বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে থাকবেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানে প্রশ্ন উঠতে পারে কানাডা পরিস্থিতি নিয়ে। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করে কানাডা বলেছিল, খলিস্তানি নেতার হত্যা হয়েছে তাঁরই নির্দেশে। জবাব দেয় নয়াদিল্লি। তখনই স্থির হয়, কমিটির বৈঠকে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দেবেন বিদেশসচিব।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)