Advertisement
E-Paper

এফএটিএফ: দিল্লি মরিয়া লক্ষ্যভেদে

কূটনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, এফএটিএফ নিয়ে গত এক বছর ধরে নয়াদিল্লি যে প্রচার চালিয়ে গিয়েছে তা যে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে, তা নয়। পাকিস্তানের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাস ও জঙ্গি সংগঠনগুলিকে পুঁজি জোগানো নিয়ে বেশ কিছু তথ্য ও নথি ওই আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে নয়াদিল্লি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:১০
নরেন্দ্র মোদী ও ইমরান খান

নরেন্দ্র মোদী ও ইমরান খান

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পর থেকে সীমান্ত এবং‌ আন্তর্জাতিক কূটনীতি— দুই ক্ষেত্রেই কার্যত রণংদেহি মূর্তি নিয়ে চলছে ইসলামাবাদ। ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ (এফএটিএফ)-এর প্যারিস বৈঠকে কালো তালিকাভুক্ত হলেই পাকিস্তানের হাওয়া বেরিয়ে যাবে, আশা করছিলেন সাউথ ব্লকের কর্তারা। তা না-হওয়ায় কিছুটা হতাশ তাঁরা। সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোর পরিকাঠামো নির্মূল করার কাজে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় পেয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। তবে হাল না-ছেড়ে ফেব্রুয়ারিতে যাতে লক্ষ্যভেদ করা যায়, তার জন্য কোমর বাঁধছে মোদী সরকার। কারণ, ওই সময়ে এফএটিএফ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এবং পাকিস্তান এত দিনেও যা করেনি, এই চার মাসে উল্টো পথে হেঁটে তা করে ফলবে, এমন সম্ভাবনাও দেখছেন না সাউথ ব্লকের কর্তারা।

কূটনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, এফএটিএফ নিয়ে গত এক বছর ধরে নয়াদিল্লি যে প্রচার চালিয়ে গিয়েছে তা যে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে, তা নয়। পাকিস্তানের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাস ও জঙ্গি সংগঠনগুলিকে পুঁজি জোগানো নিয়ে বেশ কিছু তথ্য ও নথি ওই আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে নয়াদিল্লি। আগামী দু’মাসের মধ্যে আরও বেশ কিছু তথ্য দেওয়া হবে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল নিজে এর দায়িত্বে রয়েছেন। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর পাকিস্তান গত আড়াই মাসে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ডেরাগুলিকে কী ভাবে অনুপ্রবেশ ও ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসে উজ্জীবিত করেছে এবং পুঁজি জুগিয়েছে— সেই তথ্য-পরিসংখ্যানও এফএটিএফের সচিবালয়ে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে হচ্ছে।

বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার মতে, পাক সেনা যে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে, তা এফএটিএফ-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রথম বারের জন্য পাকিস্তানকে ধুসর তালিকায় পাঠানো হয়েছিল ২০১২ সালে। কিন্তু ২০১৫ সালে কিছু ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রের সহযোগিতায় ওই তালিকা থেকে বেরিয়ে আসে তারা। তখন থেকেই মোদী সরকারের নেতৃত্বে এফএটিএফ-কে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়।

আর এ বার পাখির চোখ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি।

FATF India Pakistan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy