Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
India US Defence Ties

ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা বাণিজ্য পৌঁছবে ১ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকায়, আশাবাদী পেন্টাগন

শুক্রবার মার্কিন সামরিক ক্রয়সংক্রান্ত বিভাগের আন্ডার-সেক্রেটারি এলেন এম লর্ড পেন্টাগনে এই তথ্য দিয়ে জানান, ভবিষ্যতে ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা বাণিজ্য সংক্রান্ত সম্পর্ক বোঝাপড়ার আরও উন্নতিই আমাদের লক্ষ্য।

ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা বাণিজ্যের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী পেন্টাগন। ফাইল চিত্র

ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা বাণিজ্যের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী পেন্টাগন। ফাইল চিত্র

সংবাদসংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:০৯
Share: Save:

দিল্লিতে ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা বাণিজ্য ও প্রযুক্তি উদ্যোগ(ডিটিটিআই)-এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী সপ্তাহে। তার আগে পেন্টাগন জানাল, চলতি বছরের শেষে দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়াবে আনুমানিক ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা।

শুক্রবার মার্কিন সামরিক ক্রয়সংক্রান্ত বিভাগের আন্ডার-সেক্রেটারি এলেন এম লর্ড পেন্টাগনে এই তথ্য দিয়ে জানান, ভবিষ্যতে ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা বাণিজ্য সংক্রান্ত সম্পর্ক বোঝাপড়ার আরও উন্নতিই আমাদের লক্ষ্য। তাঁর কথায়, ‘‘২০০৮ সালে আমরা শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। আজ সেই লেনদেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা ছুঁতে চলেছে। আমরা ভারতের সঙ্গে এই পার্টনারশিপ এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী।’’

আগামী সপ্তাহের শুরুতেই নয়াদিল্লি আসছেন এম লর্ড। প্রতিরক্ষা বাণিজ্য ও প্রযুক্তি উদ্যোগ-এর নবম বৈঠক পরিচালনার ভার তাঁর উপরেই। দায়িত্বে রয়েছেন ডিফেন্স প্রোটেকশান সেক্রেটারি অপূর্ব চন্দ্রও।

এম লর্ড শনিবার বলেন, ‘‘২০১৮ সালে ভারতকে স্ট্র্যাটেজিক ট্রেড অথরাইজেশন-১ স্ট্যাটাস দেয় ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার।’’ যার আওতায় সহজেই তাদের থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনা যাবে। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ও অস্ট্রেলিয়ার পর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতই তৃতীয় দেশ, যাদের এই মর্যাদা দিয়েছে মার্কিন সরকার। ভবিষ্যতে ভারতে অস্ত্র উৎপাদন জোর দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন মার্ল।

আরও পড়ুন:মোদীর কথাকেই মান্যতা দিয়ে পওয়ার বললেন, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চাইছি
আরও পড়ুন:দেবাঞ্জন খুনে প্রথম গ্রেফতার, তৃষার প্রাক্তন প্রেমিক প্রিন্স এখনও ফেরার

২০০৫-এ তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় ও মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব ডোনাল্ড রামসফেল্ড ১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছিলেন। তার মেয়াদ ফুরনোর পরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সফরে আগামী ১০ বছরের জন্য নতুন করে প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছিল। সেই সমঝোতায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন ছিল ‘প্রতিরক্ষা বাণিজ্য ও প্রযুক্তি উদ্যোগ’ তথা ‘ডিফেন্স ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজি ইনিশিয়েটিভ’, সংক্ষেপে ডিটিটিআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE