বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত।
সুদানে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না সাউথ ব্লক। আর সেই কারণেই তাঁদের দেখভাল করার পাশাপাশি কূটনৈতিক ভাবেও চেষ্টা চলছে হিংসা প্রশমিত করার। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের লাতিন আমেরিকা যাত্রা পূর্বনির্ধারিত ছিল। তিনি আজ সেই সফরের পথেই নিউ ইয়র্কে নেমেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সঙ্গে সুদান সঙ্কট নিয়ে কথা বলার জন্য।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এই খবর জানিয়ে বলেন, সুদানে কত জন ভারতীয় রয়েছেন, সেই তথ্য বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আছে। কিন্তু ঠিক কত জন আটকে এবং তাঁরা কোথায় আছেন, তা প্রকাশ করেননি তিনি। নিরাপত্তার কারণেই তাঁরা এই তথ্য গোপন রেখেছেন। মুখপাত্রের বক্তব্য, সমাজমাধ্যমের পোস্ট দেখেও কয়েক জন ভারতীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিদেশ মন্ত্রক। সুদানে আটকে পড়েছেন ভোটমুখী রাজ্য কর্নাটকের অনেক বাসিন্দা। বিষয়টির জের টেনে রাজনৈতিক বাগ্যুদ্ধে জড়িয়েছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। সূত্রের খবর, মোদী সরকার চায় না বিষয়টি নিয়ে সরকার-বিরোধী কোনও ক্ষোভ কর্নাটকে তৈরি হোক। আর তাই বাড়তি তৎপরতা।
অরিন্দম বলেন, সুদানের রাজধানী খার্তুমে ভারতীয় দূতাবাস খোলা রয়েছে এবং কাজকর্মও চলছে। কিন্তু দূতাবাস ভবনটি খার্তুম বিমানবন্দরের কাছে হওয়ায় কোনও কর্মী এখন আর সেখানে নেই। তাঁর কথায়, “আমরা তাঁদের (সুদানে আটকে থাকা ভারতীয়দের) পরামর্শ দিচ্ছি এবং কী ভাবে নিরাপদে থাকতে হবে, সে বিষয়ে জানাচ্ছি। পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে। দূতাবাসে কাজ চলছে, কিন্তু আমরা সেখানকার ভারতীয়দের বলেছি, দূতাবাসে ব্যক্তিগত ভাবে যাওয়ার দরকার নেই। ওই অঞ্চলে লড়াই চলছে। যাঁরা দূতাবাসে কাজ করেন, তাঁরা শহরের অন্যত্র বাড়ি নিয়ে থাকছেন। ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে আমরা প্রস্তুত। সেখানে আমাদের যে দল আছে, আমরা তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy