Advertisement
E-Paper

শিশুকন্যাকে উপোসি রেখে মারধর, আমেরিকায় জেল ভারতীয় সৎ মায়ের

তার অপরাধ ছিল একটাই। ১২ বছরের শিশুকন্যাটি ছিল সৎ মেয়ে। তাই তার সৎ মা তার ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাতেন। মারধর করতেন কথায় কথায়। শিশুটিকে দিনের পর দিন না খাইয়ে রাখতেন। এক বার শিশুটিকে ঝাঁটার ভাঙা ধাতব হাতল দিয়ে সকলের সামনে বেধড়ক পিটিয়েছিলেন তিনি। তাতে শিশুটির কব্জির মাংস উঠে গিয়ে তার হাড় বেরিয়ে যায়। তাকে ভর্তি করাতে হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানে তার অস্ত্রোপচারও হয়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৬ ১৫:৩৪
ছবি-ইন্টারনেট।

ছবি-ইন্টারনেট।

তার অপরাধ ছিল একটাই। ১২ বছরের শিশুকন্যাটি ছিল সৎ মেয়ে। তাই তার সৎ মা তার ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাতেন। মারধর করতেন কথায় কথায়। শিশুটিকে দিনের পর দিন না খাইয়ে রাখতেন। এক বার শিশুটিকে ঝাঁটার ভাঙা ধাতব হাতল দিয়ে সকলের সামনে বেধড়ক পিটিয়েছিলেন তিনি। তাতে শিশুটির কব্জির মাংস উঠে গিয়ে তার হাড় বেরিয়ে যায়। তাকে ভর্তি করাতে হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানে তার অস্ত্রোপচারও হয়। এক দিন, দু’দিন নয়। টানা দেড় বছর ধরে এই ভাবে সৎ মেয়েটির ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে গিয়েছেন সৎ মা। অনেকে তাঁকে বুঝিয়েছিলেন। বারণও করেছিলেন। যতই সে সৎ মেয়ে হোক, সে তো একটা শিশু। তার সঙ্গে অমন ব্যবহার করতে সৎ মাকে নিষেধ করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি।

শিশুকন্যা মায়া রানোতের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালানোর জন্য সেই সৎ মা এ বার দোষী সাব্যস্ত হলেন আদালতে। ২৫ বছর জেল হল ৩৫ বছর বয়সী সৎ মা শীতল রানোতের।

রায় দিতে গিয়ে কুইন্স জেলা আদালতের অ্যাটর্নি রিচার্ড ব্রাউন বলেছেন, ‘‘সাক্ষীদের বয়ান পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ওই শিশুকন্যাটিকে তার সৎ মা প্রায় দেড় বছর ধরে দিনের পর দিন বন্ধ ঘরের মধ্যে রেখে, জল, খাবার না দিয়ে মারধর করে গিয়েছেন। এমন ভাবে ওই শিশুটির ওপর অত্যাচার করা হয়েছে, কোনও শিশুর ওপর যে ধরনের অত্যাচার করা যায় না।’’

ওই ঘটনায় অভিযোগের তির উঠেছে শিশুকন্যাটির বাবা রাজেশ রানোতের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ, তিনিও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী শীতলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তার মেয়ের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাতেন। তবে সেই অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি।

আরও পড়ুন- ভারতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, উদ্বেগ প্রকাশ আমেরিকার

US Step-Daughter Starving Indian-Origin Woman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy