মালটা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রয়েছে অপহৃত বিমানটি। ছবি: এএফপি।
অপহৃত বিমান থেকে আটক যাত্রী এবং সমস্ত বিমানকর্মীকে মুক্ত করে দিলেন অপহরণকারীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এখনও মালটার ওই বিমানবন্দরে বিমানের মধ্যেই রয়েছেন দুই অপহরণকারী। পুলিশ তাঁদের আত্মসমর্পণের সুযোগ করে দিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, দুই অপহরণকারীই লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত একনায়ক মুয়াম্মর গদ্দাফির সমর্থক। এই ঘটনায় মালটার ওই বিমানবন্দরে প্যারিস, লন্ডন এবং ব্রাজিল থেকে আগত বিমানগুলিকে সময়ে অবতরণ না করতে দেওয়া সময়সীমার বেশ পরিবর্তন হয়েছে।
সেভা থেকে ত্রিপোলি যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে অপহরণ করা হয়েছিল লিবিয়ার ওই বিমানকে। ১১৮ জন যাত্রী নিয়ে দক্ষিণ পশ্চিম লিবিয়ার সেভা থেকে রওনা দিয়েছিল ওই এয়ারবাস এ-৩২০। এয়ারবাসটি আফ্রিকুইয়া এয়ারওয়েজের অধীন লিবিয়ার ডোমেস্টিক ফ্লাইট। যাত্রী ছাড়াও ওই বিমানে সাত জন বিমানকর্মীও ছিলেন।
বিমান রওনা দেওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই বিমানের যাত্রীদের মধ্যে থেকে দুই ব্যক্তি হুমকি দেয়, তাঁদের কথা না মানলে এয়ারবাসটিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হবে। তাঁদের এক জনের হাতে গ্রেনেড রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপহরণের পর তাঁদের কথামতোই বিমানটির গতিপথ ঘুরিয়ে ত্রিপোলির বদলে মালটাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লিবিয়ার উত্তরে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মালটা।
ঘটনার পর মালটার প্রধানমন্ত্রী জোসেপ মুসকাট টুইট করে জানান, ‘‘পুলিশকে বিমানটির অবস্থান জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে তাঁরা।’’ অপহরণের খবর পাওয়ার সঙ্গেই সঙ্গেই বিমানবন্দর ঘিরে ফেলে নিরাপত্তাবাহিনী। দুই অপহরণকারীদের সঙ্গে অনেক আলোচনার পরে তাঁরা যাত্রীদের মুক্ত করে দেন। কিন্তু এখনও পুলিশের হাতে ধরা দেননি তাঁরা। বিমান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেও যাত্রীদের সকলেই অক্ষত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথম দিকে অপহরণকারীদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হচ্ছিল না নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। পরে তাঁরা নিজেদের গদ্দাফির সমর্থক বলে জানান।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-কন্যা ইভাঙ্কাকে কটূক্তি, বিমান থেকে নামানো হল দুই যাত্রীকে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy