ইরানের সঙ্গে ইজ়রায়েলের যুদ্ধবিরতির ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। তার মধ্যেই ইজ়রায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিন জনকে ফাঁসি দিল ইরান। শুধু গুপ্তচরবৃত্তি নয়, ইরানে এক হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহেরও অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে (ভারতীয় সময়) ওই তিন জনের ফাঁসি কার্যকর করে ইরান প্রশাসন। এমনই খবর সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে।
কয়েক দশক ধরেই ইজ়রায়েল এবং ইরানের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ্যেই দুই দেশ যুদ্ধে নেমেছিল। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছিল। তবে গত কয়েক দশকে মোসাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা বা তাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অনেককেই দোষী সাব্যস্ত করেছে ইরান। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরও করেছে।
গত ১৩ মে থেকে ইরান এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয়। রবিবার ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্রে হামলা করে ওই যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে আমেরিকাও। সেই হামলার প্রত্যাঘাত হিসাবে কাতারে মার্কিন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এই সংঘাতকে কেন্দ্র করে পশ্চিম দুনিয়া তপ্ত হয়ে ওঠে। তার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প ইরান-ইজ়রায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কথা বলেন। যদিও এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরান এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে দ্বিমত ছিল। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে হামলা অব্যাহত রাখে। পরে আবার ট্রাম্প বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারির পর ইরান বা ইজ়রায়েল, কেউই নতুন করে হামলা চালায়নি। সেই আবহেই মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিন জনকে ফাঁসি দিল ইরান।
আরও পড়ুন:
রবিবার আমেরিকার হামলার পরে মাজিদ মোসায়েবি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল ইরান। তাঁর বিরুদ্ধেও মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি, ইরানে থেকে গোপন ও সংবেদনশীল তথ্য ইজ়রায়েলের কাছে পাচার করতেন তিনি, এমনও অভিযোগ ছিল। এ বার সেই তালিকায় যোগ হল আরও তিন জনের নাম।