এ বার রাষ্ট্রপুঞ্জ নিয়ন্ত্রিত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-কে সরাসরি দুষল ইরান। প্রশ্ন তুলল আইএইএ-র প্রধান রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসির ভূমিকা নিয়েও। বৃহস্পতিবার ইরানের বিদেশ মন্ত্রক অভিযোগ তুলেছে, ইজ়রায়েলের ‘অন্যায় আক্রমণে’ প্রশ্রয় দিয়েছে ওই সংস্থা। শুধু তা-ই নয়, বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়ন্ত্রিত সংস্থাকেই দায়ী করেছে ইরান।
বৃহস্পতিবার ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেই আইএইএ-র প্রধান রাফায়েল গ্রসিকে উদ্দেশ্য করে নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘ইজ়রায়েল যে অন্যায় আক্রমণ চালাচ্ছে, তাতে প্রশ্রয় দিচ্ছেন আপনি।’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রসি জানান, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে, এর সপক্ষে কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই। সেই প্রসঙ্গ টেনেই বাঘেই বলেন, “অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। বিভ্রান্তিকর বর্ণনার পরিণতিও ভয়াবহ হয়। আপনাকে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। আপনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ব্যবস্থার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আপনি এই অন্যায় যুদ্ধে আইএইএ-কেও সামিল করেছেন।” বাঘেইয়ের দাবি, আইএইএ-ই প্রথম বলেছিল ইরান আন্তর্জাতিক পরমাণু বিধি লঙ্ঘন করছে। সেই বক্তব্যের পরেই ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায় ইজ়রায়েল। ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাতের নেপথ্য কারণও পরমাণু শক্তি নিয়ে জল্পনা। তাঁর দাবি, যুদ্ধ বাধার পরে এখন উল্টো পথে হাঁটছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থা। একই সুর ইরানের পরমাণু শক্তি দফতরের প্রধান মহম্মদ এসলামির গলাতেও। বুধবার তিনিও ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাতে গ্রসির ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি আইএইএ অভিযোগ করেছিল, আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ না মেনে পরমাণু কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তেহরান। গত দু’দশকের মধ্যে প্রথম বার ইরান এমন কাজ করছে বলেও জানিয়েছিল আইএইএ। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই দু’শোর বেশি ইজ়রায়েলি বিমান হামলা করে ইরানে! সম্প্রতি, আইএইএ এ-ও জানিয়েছিল, ইরান পরমাণু বোমা বানানোর উদ্দেশে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালাচ্ছে। প্রত্যুত্তরে ইরান আইএইএ-কে জানায়, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৬০ শতাংশ পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে তারা। কিন্তু সে সময় তেহরানের দাবি খারিজ করে দেন গ্রসি।