পশ্চিম এশিয়ায় সংঘর্ষের সময়ে ইজ়রায়েলি হামলায় জখম হন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানও। রবিবার এমনটাই দাবি করেছে ইরানের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা ‘ফার্স’। ইরানি সংবাদ সংস্থার দাবি, গত ১৬ জুন ওই হামলাটি হয়েছিল। যদিও পেজ়েশকিয়ানের চোট গুরুতর ছিল না বলেই দাবি ইরানি সংবাদ সংস্থার।
ঘটনার দিন তেহরানের পশ্চিম প্রান্তে একটি ভবনে সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের একটি বৈঠক হচ্ছিল। সেখানে পেজ়েশকিয়ানও ছিলেন। অভিযোগ, সেখানে আকাশপথে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইজ়রায়েলি বাহিনী। ওই হামলাতেই জখম হন পেজ়েশকিয়ান। ভবনে ইজ়রায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ার পরে তিনি সামান্য আহত হন। তাঁর পায়ে চোট লাগে। হামলার দিন পেজ়েশকিয়ান ছাড়াও ওই ভবনে ছিলেন ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মহম্মদ বাঘের ঘালিবাফ, বিচার বিভাগীয় প্রধান মহসেনি ইজেই-সহ অন্য শীর্ষ আধিকারিকেরাও।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে লেবাননের রাজধানী বেইরুটে হামলা চালিয়ে হিজ়বুল্লা প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাকে হত্যা করে ইজ়রায়েলি বাহিনী। ইরানের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থার দাবি, নাসরাল্লাকে হত্যার সময়ে যে ভাবে হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল, গত ১৬ জুনও একই কায়দায় হামলা চালানো হয়েছে। ভবনের প্রবেশ এবং বাহির পথে মোট ৬টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল বলে দাবি ইরানের সংবাদ সংস্থার।
আরও পড়ুন:
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পর পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরে ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ভবনের ভিতরের বাতাসও ঠিক ভাবে আসছিল না। তবে জরুরি ব্যবস্থাপনা আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা ছিল। ফলে কোনও ক্রমে সেখান থেকে ইরানের প্রেসিডেন্টকে বার করে আনা সম্ভব হয় বলে জানিয়েছে তেহরানের সংবাদ সংস্থা। হামলার পরে ভবন থেকে পালানোর সময় আরও কয়েক জন সরকারি আধিকারিক সামান্য আহত হন বলে খবর।