Advertisement
E-Paper

নেতানিয়াহু বললেই জবাব দিতে চায় ইজ়রায়েলি সেনা, কয়েক সেকেন্ডে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি ইরানেরও

সোমবার ফের জরুরি বৈঠকে বসেছিল ইজ়রায়েলের যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভা। সেখানে ইরানকে কী ভাবে জবাব দেওয়া যায়, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চলে। যদিও এই নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১০:১৯
Iran says will retaliate in seconds as Israel vows response to attack

পশ্চিম এশিয়ায় কি নতুন যুদ্ধের শুরু? ছবি: রয়টার্স।

ইরানকে পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল ইজ়রায়েল। সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ইজ়রায়েলি সেনাপ্রধান হারজ়ি হালেভি বলেন, “আমরা জবাব দেব।” পরে সেনাপ্রধানের এই হুঁশিয়ারির সঙ্গে আরও একটু সংযোজন করে ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)-এর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “কোন সময়ে হামলা হবে, সেটা আমরাই ঠিক করব।” ইরান অবশ্য পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের উপরে হামলা হলে ‘কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে’ তারা জবাব দেবে।

সোমবার ফের জরুরি বৈঠকে বসেছিল ইজ়রায়েলের যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভা। ইরানকে কী ভাবে জবাব দেওয়া যায়, তা নিয়ে সেখানে দীর্ঘ আলোচনা চলে। যদিও দিনের শেষে ইজ়রায়েলি প্রশাসনের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও ঘোষণা হয়নি। তবে তারা যে পাল্টা হামলার জন্য তাল ঠুকছে, তা স্পষ্ট হয়ে যায় কয়েকটি ঘটনা থেকেই। ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আমেরিকার এক উচ্চপদস্থ আমলা স্টিভকে বলেন, “আত্মরক্ষার জন্য আমাদের যা করা দরকার, আমরা তা-ই করব।” প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বন্ধুরাষ্ট্র ইজ়রায়েলকে ‘পরামর্শ’ দিয়েছিলেন যে, তারা যেন ইরানের উপর পাল্টা আক্রমণ চালানোর রাস্তায় না হাঁটে। কিন্তু আমেরিকার সেই পরামর্শ যে তাঁরা শুনছেন না, সেই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন স্বয়ং নেতানিয়াহুই।

ইজ়রায়েলি সেনার বক্তব্য, তারা কেবল প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার অপেক্ষা করছে। সে ক্ষেত্রে নেতানিয়াহু এক বার ‘প্রত্যাঘাত’-এর ডাক দিলেই তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। অন্য দিকে, ইরানের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক আবোলফজ়ল আমোউই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, প্রয়োজনে তাঁরা ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ‘অতীতে ব্যবহার না করা যাবতীয় অস্ত্র’ প্রয়োগ করবেন। দুই দেশের শীর্ষ স্তর থেকে এই হুঁশিয়ারি এবং পাল্টা হুঁশিয়ারি দেওয়াকে ভাল ভাবে নিচ্ছেন না অনেকেই। অনেকেরই আশঙ্কা, এর ফলে পশ্চিম ইউরোপে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হবে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে হামলা চালানো হয়। এতে ইরান প্রশাসনের দুই পদস্থ আধিকারিক-সহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়। কেউ এই বিমান হামলার দায় স্বীকার না করলেও মনে করা হয় যে, এর নেপথ্যে ছিল ইজ়রায়েল। তার পরেই গত বৃহস্পতিবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলি হোসেইনি খোমেইনি বলেছিলেন, “ইজ়রায়েলকে অবশ্যই কৃতকর্মের শাস্তি পেতে হবে।” তার পরেই শনিবার মধ্যরাতে প্রায় ২০০টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ইরান। যদিও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার সাহায্য ‘৯৯ শতাংশ’ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করে ইজ়রায়েল। ফলে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি সে দেশ থেকে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর গাজ়ায় সংঘর্ষ শুরুর পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে হামাস, হিজ়বুল্লা, হুথি-সহ ইজ়রায়েল-বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে। তারই জেরে গত এক মাসে ইরানের বিভিন্ন ঠিকানায় হামলা চালায় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী।

israel Iran Benjamin Netanyahu
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy