Advertisement
E-Paper

হিজাব খোলায় দু’বছরের জেল ইরানি প্রতিবাদীর

এই প্রথম নয়। ডিসেম্বর থেকে অন্তত ৩০ জন ইরানি মহিলাকে একই ‘অপরাধে’ গ্রেফতার করেছে ইরানের প্রশাসন। কেউ কেউ ছাড়া পেলেও অনেকেই এখনও জেলে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩০

মহিলাদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক ইরানে। আর সেই প্রথারই প্রতিবাদ করতে তেহরানের এংহেলাব (ইনকিলাব) স্ট্রিটে হিজাব খুলে ফেলেছিলেন এক মহিলা। সেই অপরাধেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তাঁকে দু’বছরের জেলের সাজাও শুনিয়েছে ইরানের একটি আদালত।

এই প্রথম নয়। ডিসেম্বর থেকে অন্তত ৩০ জন ইরানি মহিলাকে একই ‘অপরাধে’ গ্রেফতার করেছে ইরানের প্রশাসন। কেউ কেউ ছাড়া পেলেও অনেকেই এখনও জেলে। ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে, প্রকাশ্যে হিজাব খুলে, খোলা চুলে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন এক দল মহিলা। তাঁদের উপরে লাঠি চালানোরও অভিযোগ উঠেছে।

প্রকাশ্যে চুল খোলায় দু’মাস বা তার চেয়ে কম সময়ের জেল অথবা ২৫ ডলারের জরিমানার নির্দেশ রয়েছে ইরানে। কিন্তু গত দু’দশক ধরে দেশের বেশ কিছু জায়গায় অনেকটাই শিথিল হয়েছে সে সমস্ত নিয়ম। ইদানীং অনেকেই হাল্কা ধরনের হিজাব পরেন, যেখানে বেশ কিছুটা চুল দেখা যায়। তেহরান-সংলগ্ন এলাকাতে অনেক মহিলাকেই বাহুর উপরের অংশ অবধি আবরণ তুলে গাড়ি চালাতে দেখা যায়। তবে কট্টরপন্থীদের হুশিয়ারি, এই আচরণ তারা মেনে নেবে না। প্রতিবাদী মহিলাদের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করতেও পিছপা হবে না ইরানের প্রশাসন।

হিজাব-বিরোধিতার এই স্বরের জন্য বিদেশি শত্রুদেরই দুষেছেন ইরানের ধর্মীয় শীর্ষ নেতা আয়োতোল্লা আলি খামেনেই। ৮ মার্চের ঘটনাকে ‘সামান্য’ বলে জানালেও তাঁর দাবি, অনেক অভিজাতরাও ইদানীং হিজাবের বিরোধিতা করছেন। আর সেটাই চিন্তার। তিনি মনে করেন, দেশের বেশ কিছু সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং যাজকেরাও কিছু না বুঝেই ‘শত্রু’র পথ অনুসরণ করছেন। তাঁর কথায়, ‘‘হিজাবের মতো পোশাকবিধি আদতে মহিলাদের সুরক্ষাকবচ।’’

Iran Hijab Head Scarf Jail
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy