Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Mahsa Amini

হিজাবের বিরোধিতায় অর্ধনগ্ন হলেন ইরানের অভিনেত্রী এলনাজ, ভিডিয়োও দিলেন ইনস্টাগ্রামে

পোশাক বাছার স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন চলছে ইরানে। হিজাব না পরায় নীতিপুলিশির শিকার হন দেশের এক তরুণী। পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হলে প্রতিবাদে পথে নামের ইরানের মেয়েরা।

এলনাজ জানিয়েছেন, তিনি কোনও ভাবেই নগ্নতাকে সমর্থন করছেন না। তিনি একটি গণতান্ত্রিক দেশে পোশাক বেছে নেওয়ার স্বাধীনতার কথা বলতে চেয়েছেন।

এলনাজ জানিয়েছেন, তিনি কোনও ভাবেই নগ্নতাকে সমর্থন করছেন না। তিনি একটি গণতান্ত্রিক দেশে পোশাক বেছে নেওয়ার স্বাধীনতার কথা বলতে চেয়েছেন।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২২ ১৯:০৬
Share: Save:

হিজাব পরবেন না, এই প্রতিবাদকে সমর্থন জানাতে শরীর থেকে পোশাক টেনে খুলে ফেললেন ইরানের এক অভিনেত্রী। এলনাজ নরৌজি নামের ওই অভিনেত্রী এর আগেও ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলনকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন। তবে এ বার তিনি আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে ইনস্টাগ্রামে তাঁর পোশাক ছাড়ার ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন।

ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে হিজাব এবং বোরখা পরে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা এলনাজ একে একে খুলে ফেলছেন মাথার আবরণ, তারপর বোরখা এবং শেষে পোশাকও। এক খণ্ড পোশাক এবং হাতে লজ্জা নিবারণ করে নিজের নিরাবরণ ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। শেষে নিজের পোশাক ঢাকা এবং পোশাক ছাড়া ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, দু’টোর যে কোনও একটি আমার পছন্দ হতে পারে। আমাদের সেই পছন্দ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিতে হবে।

এলনাজ বলেছেন, গণতান্ত্রিক দেশে পোশাক বেছে নেওয়ার অধিকারও থাকা উচিত মহিলাদের। উল্লেখ্য, হিজাব না পরায় সম্প্রতিই ইরানে নীতিপুলিশির শিকার হন এক তরুণী। ২২ বছরের মাহসা আমিনিকে পুলিশ খোলাচুল দেখানোর অভিযোগে গ্রেফতার করে। পুলিশি হেফাজতেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছিল, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে মাহসার। কিন্তু তার সঙ্গে লক আপে থাকা অন্য বন্দিরা অভিযোগ করেন পুলিশ প্রবল অত্যাচার করেছিল মাহসার উপর। মারধর করা হয় তাঁকে। তাতেই মৃত্যু হয় তরুণীর। এই ঘটনার পরেই হিজাবের বিরোধিতা করে পথে নামের ইরানের মেয়েরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE