ইজ়রায়েল তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল! এমনই দাবি করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ান। তাঁর দাবি, তিনি যেখানে সভা করছিলেন, সেই সময়ই সেখানে হামলা চালিয়েছিল তেল আভিভ! পাশাপাশি পেজ়েশকিয়ান এ-ও দাবি করেন, ইজ়রায়েল বার বার চেষ্টা করেও তাঁকে খুন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে ইজ়রায়েলি হামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় পেজ়েশকিয়ানকে। সেই প্রশ্নের জবাবে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘অবশ্যই, ইজ়রায়েল চেষ্টা করেছিল আমাকে হত্যা করতে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।’’ তাঁকে হত্যার পরিকল্পনার নেপথ্যে কি আমেরিকার হাত রয়েছে? পেজ়েশকিয়ান তা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার উপর হামলার নেপথ্যে আমেরিকা ছিল না। ছিল ইজ়রায়েল। আমি একটি সভায় উপস্থিত ছিলাম, সেই সময়ই সেখানে বোমা হামলার চেষ্টা করেছিল তারা।’’ ইরান-ইজ়রায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক অস্থিরতার মধ্যেই কি হামলার চেষ্টা হয়েছিল, না কি অন্য কোনও সময়ে, তা স্পষ্ট করেননি ইরানের প্রেসিডেন্ট।
আমেরিকার সঙ্গে পরমাণুচুক্তি নিয়ে আলোচনায় কোনও সমস্যা নেই বলেই জানিয়েছেন পেজ়েশকিয়ান। তাঁর দাবি, ‘‘যদি দুই দেশের মধ্যে আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়, তবে আমেরিকার সঙ্গে আবার পরমাণুচুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে।’’ তবে একই সঙ্গে তিনি উদ্বেগপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমরা আবার কী ভাবে আমেরিকাকে বিশ্বাস করব?’’ পেজ়েশকিয়ান জানান, কিছু শর্ত মেনেই দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চলতে পারে।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন রাতে ইরানের বিভিন্ন শহর ও পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমান। যার নাম ছিল ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’। ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ২৪ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয়। তার আগেই অবশ্য ২১ জুন গভীর রাতে মার্কিন ‘স্টেল্থ’ বোমারু বিমান ‘বি-২ স্পিরিট’ ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্র— নাতান্জ়, ফোরডো এবং ইসফাহানে জিবিইউ-৫৭ (বাঙ্কার ব্লাস্টার সিরিজ়ের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা) ফেলেছিল।