Advertisement
E-Paper

পিঠ বাঁচাতে দেহ নিতে অস্বীকার করেছিল পাকিস্তান! ২৬ বছর পর কার্গিলের ‘শহিদ’কে স্বীকৃতি ইসলামাবাদের

কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ গত বছরই প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। এ বার ‘শহিদ’কে স্বীকৃতি দেওয়ায় আবারও সেই দাবিতে সিলমোহর পড়ল।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫ ১৭:০২

— ফাইল চিত্র।

কার্গিল যুদ্ধে পাক সেনার জড়িত থাকার অভিযোগ অতীতে বার বারই অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। অবশেষে শনিবার কার্গিলের ‘শহিদ’ ক্যাপ্টেন কর্নাল শের খান শাহিদকে স্বীকৃতি দিল তারা। দীর্ঘ ২৬ বছর পর!

শনিবার সে দেশের সেনাপ্রধান অসিম মুনির এবং অন্য সেনাকর্তারা কার্গিল যুদ্ধে নিহত পাক সেনাদের ‘বলিদান’কে স্বীকৃতি দিয়েছেন। পাশাপাশি, ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে হত ক্যাপ্টেন কর্নাল শের খানকেও তাঁর ২৬তম শাহাদাত দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাঁরা। অসিম এও বলেন, কার্গিল যুদ্ধে অটল সাহস এবং দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছিলেন শের খান। সেনাপ্রধানের মন্তব্য থেকেই আরও এক বার স্পষ্ট যে, কার্গিল যুদ্ধে পাক সেনার অংশগ্রহণের বিষয়টি আবারও প্রকাশ্যে স্বীকার করল ইসলামাবাদ।

প্রসঙ্গত, ২৬ বছর আগে যখন দ্রাস সাব-সেক্টরের টাইগার হিলে শের খানের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল, সে সময় তাঁর দেহ নিতে অস্বীকার করেছিল এই পাকিস্তানই! তাঁর পরিচয়ও স্বীকার করেনি ইসলামাবাদ। ১৯৯৯ সালের ১২ জুলাই ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায়, তারা শের খানের মরদেহ পাক সেনার হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত। এর পর ১৩ জুলাই আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায়, পাকিস্তান সরকার তাদের অনুরোধ করেছে হত দুই ব্যক্তির দেহ হস্তান্তরের জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। পাকিস্তানের সেই অনুরোধে দুই সেনাকর্তার নামেরও উল্লেখ ছিল না। ওয়াশিংটনের ভারতীয় দূতাবাস একটি বিবৃতিতে এর নিন্দা জানিয়ে লেখে, ‘‘পাকিস্তানের কাছে তথ্য থাকা সত্ত্বেও তারা দুই সেনাকর্তার পরিচয় পর্যন্ত প্রকাশ করেনি, কারণ তারা জানত যদি তারা দুই সেনাকর্তার পরিচয় স্বীকার করে, তা হলে কার্গিলে পাক সেনার জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে! এটা শুধু হত সৈন্যদের পরিবারের প্রতিই নয়, বরং সশস্ত্র বাহিনীর জন্যও চরম অসম্মানজনক।’’

১৯৯৯-এর মে মাসে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে মুশকো, দ্রাস, কার্গিল প্রভৃতি সেক্টরে ঢুকে পড়েছিল পাক সেনা। পাল্টা অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন বিজয়’। ১৯৯৯ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত কার্গিল যুদ্ধে শহিদ হন কয়েকশো ভারতীয় জওয়ান। প্রসঙ্গত, পাকিস্তান দীর্ঘ দিন ধরে দাবি করে এসেছে যে, কার্গিল যুদ্ধের নেপথ্যে ছিল কাশ্মীরি জঙ্গিরা। এই জঙ্গিদের ‘মুজাহিদিন’ বলে অভিহিত করে পাকিস্তান। যদিও ভারত শুরু থেকেই দাবি করে এসেছে, কার্গিল যুদ্ধের নেপথ্যে ছিল পাক সেনা।

Kargil Martyr Kargil War Pakistan Army Pakistan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy