রাস্তায় সাঁজোয়া গাড়ির টহল। ছবি: রটার্স।
জাকার্তার হামলায় অবশ্যই ইসলামিক স্টেট জড়িয়ে আছে। ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ সূত্রে এমনই খবর। ও দিকে জাকার্তায় জঙ্গি হামলার ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গিরাও আছে। আহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। কিন্তু এই হামলার পিছনে আইএস-এর হাত রয়েছে বলে প্রায় নিশ্চিত ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ। তবে আপাতত এই ঘটনাটিকে জঙ্গি হামলা বলেই সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে।
মুসলিম জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বে সবার আগে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। প্রধানত সুন্নি প্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়া। আইএস-এর ভাবধারায় বিশ্বাসীর সংখ্যাও বিরল নয় এ দেশে। আইএস হয়ে লড়াই করতে কয়েকশো নাগরিক সিরিয়া গিয়েছিল। তাদের অনেকে ফিরেও এসেছে। উগ্র মৌলবাদের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরেই ভুগছে ইন্দোনেশিয়া। এর আগেও মৌলবাদী জঙ্গিরা ইন্দোনেশিয়ায় হামলা চালিয়েছে। ২০০২-এ জঙ্গিরা বালির নাইটক্লাবে হামলা চালায়। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে ৮৮ জন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ছিলেন। দেশে যে আইএস-এর হামলা হতে পারে এমন খবর ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসনের কাছে ছিল। সে দেশের জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র অ্যানটন চার্লিয়ান জানিয়েছেন, তাঁরা আইএস-এর একটি সাঙ্কেতিক বার্তা উদ্ধার করেছিলেন। যেখানে বলা হয়েছিল, ইন্দোনেশিয়ায় কনসার্ট হবে, সারা পৃথিবী শুনতে পাবে। অনেকের ধারণা, এটি আসলে জাকার্তায় হামলার বার্তাই।
আরও পড়ুন:
জাকার্তায় আত্মঘাতী জঙ্গি হানা, মৃত অন্তত ৭
জাকার্তায় জঙ্গি হামলার ছবি
শুধু একটি বার্তাই নয়, আরও বেশ কিছু সূত্র থেকে আসন্ন হামলার খবর এসেছিল বলে ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন স্বীকার করে নিয়েছে। বিশেষ করে জাকার্তায় হামলা হতে পারে বলেও খবর ছিল। কারণ, সুন্নি প্রধান ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তয় আবার শিয়ারা সংখ্যাগুরু। নতুন বছরের শুরুতেই হামলা হতে পারে বলেও খবর এসেছিল। এর পরেই নিরপত্তা বাড়ানো হয়। গির্জা, বিমানবন্দর-সহ জনবহুল এলাকায় নিরাপত্তা কঠোর করার জন্য এক লক্ষ ৫০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়ন করা হয়েছিল। তাই এ দিনের হামলা খুব তাড়াতাড়ি সামলে নেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
এখনও পর্যন্ত আইএস এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও যে ভাবে হামলা চলেছে তা আইএস-এর দিকে ইঙ্গিত করছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। প্যারিসে পর পর দু’বার হামলা, সম্প্রতি বাগদাদে একটি হামলার সঙ্গে অনেকেই এ দিনের জাকার্তার হামলার মিল খুঁজে পাচ্ছেন বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy