দম্পতি: বিয়ের দিন ল্যুডমিলার সঙ্গে ভ্লাদিমির। —ফাইল চিত্র।
ভ্লাদিমির পুতিন তখন কেজিবি-র গোয়েন্দা। কর্মসূত্রে থাকেন পূর্ব জার্মানিতে। সাল ১৯৮৩। বিয়ে করলেন ল্যুডমিলাকে। সংসার পাতলেন ভিন্দেশে।
তার পরের তিরিশটা বছরে অনেক জল বয়ে গিয়েছে ভোলগা দিয়ে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙেছে। পুতিন দেশে ফিরেছেন সস্ত্রীক। রাজনীতিতে জাঁকিয়ে বসেছেন। সে দিনের গোয়েন্দা হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
আর তাঁদের বিয়েটাও ভেঙেছে। ঠিক ৩০ বছর পরে। সাল ২০১৩।
বিয়ে ভাঙার পরে ল্যুডমিলা একটি মঠে আশ্রয় নেন বলে জানিয়েছিল রুশ সংবাদমাধ্যম। পরের চারটে বছর প্রায় দেখাই যায়নি তাঁকে। সেই ল্যুডমিলাই হঠাৎ খবরে। একটি সংবাদ সংস্থার দাবি, পুরনো বন্ধু আর্থার ওকেরেটনিকে সম্ভবত বিয়ে করেছেন প্রাক্তন রুশ ফার্স্ট লেডি। কারণ কাগজপত্র নাকি বলছে, তিনি আর্থারের পদবি নিয়েছেন। সম্প্রতি লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে দু’জনের একসঙ্গে তোলা একটি ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। এবং মজার ব্যাপার হল, সংবাদ সংস্থার তরফে প্রশ্ন করা হলে আর্থার হ্যাঁ-না কিছুই বলেননি।
ল্যুডমিলার বয়স ৫৮। আর্থার ৩৭। এ-ও শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ ফ্রান্সের বিয়ারিটৎজ-এ প্রায় ৭০ লক্ষ ইউরো দিয়ে দু’জনে একটা ছোটখাটো প্রাসাদ কিনেছেন। সেই বাড়ি এখন মেরামত হচ্ছে। কাজ শেষ হলেই নাকি সেখানে উঠে যাবেন আর্থার-ল্যুডমিলা।
আশ্চর্য হল, একই রকম একটা চর্চা এই মুহূর্তে চলছে পুতিনকে ঘিরেও। ৬৫ বছরের রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নাকি সম্পর্ক গড়ে উঠেছে অলিম্পিয়ান জিমন্যাস্ট, ৩০ বছরের আলিনা কাবায়েভার। যিনি পুতিন-ল্যুডমিলার বড় মেয়ের সমবয়সি।
২০১৩-য় ক্রেমলিনে এক ব্যালের অনুষ্ঠানে শেষ বার একসঙ্গে দেখা যায় পুতিন-ল্যুডমিলাকে। সেখানেই ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ায়’ ৩০ বছরের সম্পর্কে ইতি টানার কথা ঘোষণা করেন তাঁরা। শোনা যায়, দাম্পত্য মধুর ছিল না। পুতিনের জীবনীকার নাতালিয়া গেভোর্কিয়ানও বলেন, ‘‘ল্যুডমিলা ভালবেসেছিলেন। কিন্তু ভালবাসা পাননি।’’ সরকারি ভাবে ক্রেমলিনের তরফে রুশ প্রেসিডেন্টের যে জীবনী লেখা হয়েছিল, তাতে উল্লেখ পর্যন্ত ছিল না ল্যুডমিলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy