Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Jalaluddin Haqqani

Haqqani network: হক্কানিদের গুরুত্ব বাড়াতে উদ্যোগ আইএসআই-এর, নজর রাখছে নয়াদিল্লি

নয়াদিল্লি এটাও মাথায় রাখছে, অতীতে বারবার কাবুলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস আক্রান্ত হওয়ার পিছনে সরাসরি হাত রয়েছে হক্কানি নেটওয়ার্কেরই।   

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:২৬
Share: Save:

পাকিস্তানের মদতে পুষ্ট হক্কানি গোষ্ঠীর সঙ্গে তালিবানের মধ্যমপন্থী নেতা মোল্লা বরাদরের বিরোধ প্রকাশ্যে। আর তার মধ্যেই আফগানিস্তানে গিয়ে ঘাঁটি গেড়েছেন পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর ডিরেক্টর ফৈজ় হামিদ। কাশ্মীরে অশান্তি, ভারতে বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজকর্ম সংঘটিত করতে অতীতে বহু বার এই হক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত জঙ্গিদের ব্যবহার করেছে আইএসআই। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা পরিস্থিতির দিকে উদ্বেগের সঙ্গে নজর রাখছে নয়াদিল্লি। হক্কানি গোষ্ঠীর প্রভাব আসন্ন তালিবান সরকারে বাড়লে তার নেতিবাচক ফলাফল কাশ্মীর তথা ভারতের সীমান্তে দেখা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

নয়াদিল্লি এটাও মাথায় রাখছে, অতীতে বারবার কাবুলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস আক্রান্ত হওয়ার পিছনে সরাসরি হাত রয়েছে হক্কানি নেটওয়ার্কেরই।

সূত্রের মতে, কাউন্সিল সদস্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশগুলির গভর্নর পদ — সর্বত্র হক্কানি নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করতে মরিয়া পাকিস্তান তথা আইএসআই। অন্য দিকে বরাদরের দোহা দোষ্ঠী চাইছে আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। সেখানে পাক-পন্থী জঙ্গিদের সঙ্গে অধিক প্রকাশ্য ঘনিষ্ঠতা তাদের কাছে অস্বস্তির। এখনও পর্যন্ত কাতার এবং আমেরিকা বরাদরের নেতৃত্বাধীন তালিবানের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। সরকারের নতুন কাঠামোয় আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজ়াই এবং শান্তি আলোচনার অন্যতম কর্ণধার আবদুল্লা আবদুল্লাকে কোনও পদ দেওয়া হবে কি না তা নিয়েও যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে ভারতের। এঁরা দুজনই নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠ বলে আন্তর্জাতিক শিবিরে পরিচিত। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে গিয়ে
বিভিন্ন কর্তাদের সঙ্গে কাবুল নিয়ে আলোচনা সেরে ফিরেছেন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের মতো আমেরিকাও আফগানিস্তানের দিকে নজর রাখছে। পাকিস্তানের সমস্ত পদক্ষেপ খুবই খুঁটিয়ে দেখতে হবে আমাদের। পাকিস্তান আফগানিস্তানের প্রতিবেশী। তালিবানকে তারাই বাড়িয়ে তুলেছে। তালিবানের মধ্যে এমন অনেক অংশ রয়েছে যারা সরাসরি ভাবে ইসলামাবাদের সহায়তায় চলে।’’

পাশাপাশি নয়াদিল্লি পাখতুনদের বাইরে অন্য গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা সরকারে জায়গা পান কি না তা দেখতে চাইছে। বিশেষত তাজিক, উজ়বেক এবং হাজারাদের নেওয়া হয় কি না তা জানতে চায় তারা। সরকারে কোনও মহিলা প্রতিনিধি থাকে কি না, সেদিকেও নজর রাখছে ভারত-সহ নানা দেশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jalaluddin Haqqani Haqqani Network
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE