Advertisement
E-Paper

খাবারের জন্য হাহাকারে সায় ছিল না ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রগুলিরই! চাপের মুখেই গাজ়ায় ত্রাণ, মানলেন নেতানিয়াহু

চলতি বছরের মার্চে প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শেষ হতে না হতেই গাজ়ায় খাদ্যসামগ্রী পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিল ইজ়রায়েল। তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে বার বার প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছিল নেতানিয়াহুর সরকারকে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ১৬:০৯
গাজ়া ভূখণ্ডে খাবারের জন্য হাহাকার।

গাজ়া ভূখণ্ডে খাবারের জন্য হাহাকার। ছবি: রয়টার্স।

প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলের সামরিক অভিযানে ক্ষতবিক্ষত গাজ়া ভূখণ্ড। ধারাবাহিক বোমাবর্ষণে প্রতিদিন মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে তৈরি হয়েছিল খাদ্য সঙ্কটও। গাজ়ার ওই খাদ্য সঙ্কটের পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েল পাশে পায়নি নিজের ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রগুলিকেও। সোমবার নিজেই সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

হামাসের সঙ্গে প্রথম দফার ওই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মার্চের শুরুর দিকে গাজ়ায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল ইজ়রায়েল। তা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তর থেকে যে প্রশ্ন উঠছিল, তা সোমবার ‘স্বীকার’ করে নিয়েছেন নেতানিয়াহু। সোমবার একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স অনুসারে সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ইজ়রায়েলের বন্ধুরাষ্ট্রগুলি (গাজ়ায়) ‘ক্ষুধার চিত্র’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এই পরিস্থিতিতে তারা ইজ়রায়েলকে সমর্থন করতে পারবে না, এমন কথাও জানিয়েছিল ওই দেশগুলি।

নেতানিয়াহুর কথায় স্পষ্ট যে আন্তর্জাতিক চাপের মুখেই হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত বদল করতে হয়েছে ইজ়রায়েলকে। তিনি বলেছেন, “জয়ের জন্য আমাদের কোনও একটি সমাধানের পথ বের করতে হত।” বস্তুত, রবিবার গাজ়ায় সীমিত পরিমাণের খাদ্য সামগ্রী পাঠানোর কথা ঘোষণা করলেও, কী পরিমাণে তা পাঠানো হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু উল্লেখ করেনি ইজ়রায়েল। গাজ়ায় ত্রাণ পাঠাতে রাজি হলেও হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান থামেনি ইজ়রায়েলের। বরং আরও সুর চড়িয়ে নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, গোটা গাজ়া ভূখণ্ডকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেবে ইজ়রায়েল। গাজ়া ভূখণ্ডের ত্রাণসামগ্রী হামাস যাতে কোনও ভাবেই ‘লুঠ’ করতে না পারে, তা-ও ইজ়রায়েল নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কাতার, আমেরিকা এবং মিশরের উদ্যোগে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল এবং হামাস গোষ্ঠী। তবে প্রথম দফার ওই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মার্চের গোড়ায় ফের গাজ়ায় হামলা শুরু করে ইজরায়েলি সেনা। নতুন করে সংঘর্ষবিরতির জন্য সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত আশানুরূপ কিছু ফল আসেনি।

Israel Hamas Conflict Gaza Strip
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy