ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধবিরতির কোনও সম্ভাবনা এখনও তৈরি হয়নি। প্রায় প্রতিদিনই আকাশপথে ইজ়রায়েলি হানায় মৃত্যু হচ্ছে গাজ়ার সাধারণ বাসিন্দাদের। যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই এ বার গাজ়ায় ‘ন্যূনতম পরিমাণ’ খাদ্য সামগ্রী পাঠাতে রাজি হয়েছে ইজ়রায়েল। তবে হামাসের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান একই রকম গতিতেই চলছে। ধারাবাহিক ভাবে গাজ়া ভূখণ্ডে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজ়রায়েলি বায়ুসেনা।
কাতার, আমেরিকা এবং মিশরের উদ্যোগে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল এবং হামাস গোষ্ঠী। তবে প্রথম দফার ওই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মার্চের গোড়ায় ফের গাজ়ায় হামলা শুরু করে ইজরায়েলি সেনা। একই সঙ্গে গাজ়া ভূখণ্ডে খাবার সরবরাহ বন্ধ করা-সহ বেশ কিছু অবরোধ চাপানোও শুরু করে তারা। তবে ওই সিদ্ধান্তগুলি প্রত্যাহারের জন্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মঞ্চ থেকে চাপ আসছিল ইজ়রায়েলের উপর। এই আবহে গাজ়ায় স্বল্প পরিমাণে খাবার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন।
নেতানিয়াহুর দফতর জানিয়েছে, গাজ়া ভূখণ্ডে যাতে কোনও দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই গাজ়াবাসীর জন্য ন্যূনতম পরিমাণ খাবার পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে। হামাস-বিরোধী সামরিক অভিযান আরও সম্প্রসারিত করতে ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সুপারিশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ইজ়রায়েলি হানায় রবিবারও গাজ়ায় শতাধিক মৃত্যুর খবর মিলেছিল। সংবাদ সংস্থা ‘এপি’ অনুসারে, দক্ষিণ গাজ়ার খান ইউনিস শহরে ইজ়রায়েলি বায়ুসেনার হামলায় অন্তত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে অন্তত ১৮ শিশু এবং ১৩ মহিলা রয়েছেন। গত ১৯ মাস ধরে চলা এই সংঘর্ষে ৫৩ হাজারেরও বেশি প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা আরও বেশি। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ অনুসারে, সোমবার ভোর থেকে আরও অন্তত ২৩ জন প্যালেস্টাইনির মৃত্যুর খবর মিলেছে।