রাতভর ইরানের রাজধানী তেহরানে সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। শনিবার এমনটাই জানালেন ইজ়রায়েলের বায়ুসেনার প্রধান মেজর জেনারেল তোমর বার। তিনি আরও জানিয়েছেন, তেহরানে এই হামলা চালিয়ে যাবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনা। বারকে উদ্ধৃত করে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এ।
শুক্রবার সকালের পরে রাতেও ইরানে হামলা চালায় ইজ়রায়েল। সে দেশের বায়ুসেনা প্রধান বার বলেন, ‘‘এই অভিযানের জাতীয় তাৎপর্য রয়েছে। আমরা শত্রুর কৌশলগত ঘাঁটিতে ক্ষতিসাধন করেছি। ক্ষতি করেই যাব।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, ইরানে ডজনখানেক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে ইজ়রায়েলের বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। ভূমি থেকে আকাশে ছোড়া হয় যে ক্ষেপণাস্ত্র, তার পরিকাঠামোতেও আঘাত হেনেছে। বারের কথায়, ‘‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথম বার ইজ়রায়েলের ভূখণ্ড থেকে ১,৫০০ কিলোমিটার দূরে তেহরানের সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে বায়ুসেনা (আইএএফ)।’’
ইরান থেকে ইজ়রায়েলের দূরত্ব ১৫০০ কিলোমিটার। দুই দেশের মধ্যে কোনও সীমান্ত নেই। ইরাক, সিরিয়া বা জর্ডনের মতো দেশের উপর দিয়ে উড়ে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রকে ইজ়রায়েলের আকাশসীমায় পৌঁছতে হয়। মুসলিম দেশ হয়েও জর্ডন, ইরাকের মতো দেশ ইরানের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেয় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনাকে। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে ক্ষমতা দখলকারী সুন্নি কট্টরপন্থী নেতা মোহাম্মদ জোলানিও ইজ়রায়েলের জন্য আকাশপথ উন্মুক্ত করেছেন। সেখান দিয়ে উড়েই ইরানে হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েল।
আরও পড়ুন:
শুক্রবার সকাল থেকে ইরানের পরমাণু এবং সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে ইজ়রায়েল। ইরানের রাজধানী তেহরানে এবং সংলগ্ন এলাকাতেও আকাশপথে হামলা চালায় ইজ়রায়েলি সেনা। ইরান এই হামলার কথা স্বীকার করেছে। ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইজ়রায়েলি হানায় মৃত্যু হয়েছে সে দেশের সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল মহম্মদ বাগেরির। মৃত্যু হয়েছে ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের প্রধান কমান্ডার জেনারেল হোসেন সালামি এবং ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল ঘোলামালি রশিদের। ইজ়রায়েলি হানায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের ছ’জন পরমাণু বিজ্ঞানীও। নিহত বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রাক্তন প্রধান ফেরেউদুন আব্বাসি। ইজ়রায়েলে ঢুকে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরানও।