Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
International News

ভারতের সঙ্গে অস্ত্রচুক্তির গোপন ফাইল হারিয়ে ফের কী ভাবে পেলেন ইজরায়েলি কর্তা

বরাত জোরে পরে অবশ্য সেই সব গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তিনি ফেরত পেয়ে যান।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। -ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। -ফাইল ছবি

সংবাদ সংস্থা
জেরুসালেম শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৯:২৯
Share: Save:

ভারতের সঙ্গে অস্ত্র কেনাবেচার চুক্তি সংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথিপত্র একটি রেস্তোরাঁয় ভুলে ফেলে এসেছিলেন সফররত ইজরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মির বেন শব্বত। বরাত জোরে পরে অবশ্য সেই সব গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তিনি ফেরত পেয়ে যান।

ইজরায়েলি দৈনিক ‘হারেৎজ্‌’ এই খবর দিয়েছে। দৈনিকটির একটি প্রতিবেদন জানিয়েছে, গত জানুয়ারিতে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) সদস্যদের নিয়ে দিল্লিতে সরকারি সফরে এসেছিলেন ইজরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শব্বত। অস্ত্র কেনাবেচার চুক্তি নিয়ে তাঁর বৈঠক হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে।

বিমানে তেল আভিভ রওনা হওয়ার আগে শব্বত তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন একটি রেস্তোরাঁয়। সেখানেই গল্পগুজবে মশগুল হয়ে গিয়ে যাবতীয় সরকারি নথিপত্রই তিনি ফেলে এসেছিলেন। সেই সব নথিপত্রের মধ্যে ছিল গুপ্তচর বিমান, পাইলটবিহীন বিমান ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, কামান ও রেডার প্রযুক্তি সংক্রান্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি। রেস্তোরাঁয় ঢুকে খাওয়াদাওয়ার সময় তাঁর দিল্লির এক সঙ্গীকে ওই সব ফাইল রাখতে দিয়েছিলেন শব্বত। তিনিও রেস্তোরাঁ থেকে বেরনোর সময় সেই ফাইলটি তুলে নিয়ে যেতে ভুলে যান।

আরও দেখুন- নিমেষে ধ্বংস যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন! আর কী কী করতে পারে এম এইচ ৬০আর রোমিও​

আরও দেখুন- মাটির নীচে যেন আস্ত দেশ! খোঁজ মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় নুনের গুহার

শব্বত আর তাঁর সঙ্গীরা খাওয়াদাওয়া সেরে বেরিয়ে পড়েন রেস্তোরাঁ থেকে। চলে যান বিমানবন্দরে, তেল আভিভে ফেরার বিমান ধরতে। ওই সময়েই রেস্তোরাঁর এক ওয়েটারের চোখে পড়ে সেই সব নথিপত্র। কোনও ভাবে সে বুঝতে পারে, সেই নথিপত্রগুলি ইজরায়েলের। ওই ওয়েটারের এক বন্ধুর মা কাজ করেন দিল্লির ইজরায়েল দূতাবাসে। ওয়েটার সঙ্গে সঙ্গে ওই বন্ধুকে ফোন করেন। কিন্তু সেই বন্ধুটি তখন দিল্লিতে ছিলেন না। ওয়েটার বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি তড়িঘড়ি উড়ে আসেন দিল্লিতে। তার পর ওয়েটার বন্ধুর হাত থেকে ওই সব গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে তিনি সেগুলি তুলে দেন তাঁর মায়ের হাতে।

পরে গোটা ঘটনার তদন্ত হয়। ইজরায়েলি এনএসসি-র প্রধান জোয়াভ হোরোউইৎজ পরে জানান, ‘‘কিছুই খোওয়া যায়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE