রাখাইন অর্থাৎ সাবেক আরাকানের যে জায়গাগুলিতে রোহিঙ্গারা সংখ্যাগরিষ্ঠ, সে এলাকাগুলি নিয়ে একটি স্বাধীন দেশ গড়ে উঠুক চায় জামায়াতে ইসলামী। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আজ চিন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জামায়াতের নেতারা। সেখানেই রোহিঙ্গাদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
চিন কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছে। আজ জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করে তারা। ওই বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের পক্ষে সওয়াল করেছেন জামায়াত নেতৃত্ব। দলের নেতা নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লা মো. তাহের বলেন, ‘‘জামায়াত আরাকানে রোহিঙ্গা সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা নিয়ে স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছে। চিন এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মায়ানমারের সঙ্গে চিনের বড় ধরনের অংশীদারি রয়েছে।’’ সূত্রের খবর, তাঁরা বলেছেন, জামায়াতের প্রস্তাবের বিষয়ে বেজিং সরকারকে জানাবেন।
সম্প্রতি রাখাইনে মানবিক সহায়তা প্রদানের কথা বলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন আজ জানান, রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রস্তাবে সরকার নীতিগত সম্মতি দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ নীতিগত ভাবে রাখাইনে একটি মানবিক করিডর চালু করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আমাদের কিছু শর্ত রয়েছে। শর্তগুলো পূরণ হলে, অবশ্যই সহায়তা করব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মায়ানমারের বিশাল জনগোষ্ঠী আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে, আমরা চাই তারা ফিরে যাক। তা নিশ্চিত করতে যা করণীয়, আমাদের তা করতে হবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)