রন ক্লেন
দৌড় মোটামুটি শেষ। এ বার ঘর গোছানোর পালা। সেই সূত্রেই নিজের দীর্ঘদিনের পরিচিত অভিজ্ঞ ডেমোক্র্যাট নেতা রন ক্লেন-কে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ বেছে নিলেন আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত কাল এই প্রথম নিজের ব্যক্তিগত পছন্দের নাম জানালেন তিনি।
ক্লেনের এই পদপ্রাপ্তি প্রথম নয়। ২০০৯-এ বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট ও বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে চিফ অব স্টাফের চাকরিতেই ঢুকেছিলেন ক্লেন। এখন তাঁর বয়স ৫৯। তাঁর নিয়োগের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে বাইডেন বলেন, ‘‘ক্লেনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা অমূল্য। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওঁর অভিজ্ঞতা, গভীরতা এবং সব দলের নেতাদের নিয়ে কাজ করার ক্ষমতা প্রশংসনীয়। দেশকে যখন একসূত্রে বাঁধতে চাইছি, তখন এমন এক চিফ অব স্টাফ দরকার।’’
বাইডেন ঘর গোছাচ্ছেন বটে, কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও হার স্বীকারে নারাজ। এরই মধ্যে আবার আলাস্কার তিনটি ভোট জুড়ে ট্রাম্পের প্রাপ্ত ইলেক্টোরাল ভোট এখন ২১৭। আলাস্কা থেকে সেনেট-আসনও নিজেদের দখলে রেখেছে রিপাবলিকান দল। ১০০ সদস্যের সেনেটে অর্ধেক আসন এখন তাদের। ট্রাম্প শিবিরে বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে জর্জিয়াও। এই প্রদেশে স্বাভাবিক ভোটগণনায় ১৪ হাজারের বেশি ভোটে বাইডেন এগিয়ে যাওয়ার পরেই ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে আদালতে যান ট্রাম্প। আদালতের নির্দেশে ১৬টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের এই প্রদেশে এ বার নতুন করে লক্ষ লক্ষ ভোট হাতে গোনা হবে। তাতেও ভোটের ফলে কিছু বদল হবে না বলে দাবি ডেমোক্র্যাটদের।
হোয়াইট হাউসে একসঙ্গে কাজেরও আগে, বাইডেন যখন সেনেটের জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে কাজ করেন ক্লেন। ওবামার আমলে ইবোলা মোকাবিলায় হোয়াইট হাউসের কাজকর্মের তদারকিও করেন ক্লেন। বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, ক্ষমতায় আসার প্রথম থেকেই করোনা মোকাবিলায় ঝাঁপাবে তাঁর নয়া টাস্ক ফোর্স। সেই কমিটিও প্রায় তৈরি। মনে করা হচ্ছে, এখানে অতীতের ইবোলা-মোকাবিলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারেন তাঁর নয়া চিফ অব স্টাফ।
বাইডেন নাম ঘোষণার পরে বিবৃতি দিয়ে পাল্টা সৌজন্য দেখিয়েছেন ক্লেনও। তাঁর কথায়, ‘‘এ বারের এই পদপ্রাপ্তি সারা জীবনের সম্মান। মেরুকরণে দেশকে একজোট করার যে চ্যালেঞ্জ এসেছে, তার মুখোমুখি হতে তৈরি আমি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy