প্রতীকী ছবি।
মডার্না, অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা, ফাইজ়ারের পর এ বার জনসন অ্যান্ড জনসন। আমেরিকায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার দৌড়ে শামিল হল এই সংস্থার প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক শাখা ‘জ্যানসেন বায়োটেক’-এর তৈরি করোনা ভ্যাকসিনটি। বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখতে শুক্রবার থেকে গোটা সপ্তাহান্ত জুড়ে দফায় দফায় বৈঠক এবং ভোটাভুটি চালানো হবে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)-এর তরফে। যাদের সবুজ সঙ্কেত পেলে আগামী সপ্তাহের গোড়া থেকেই বাজারে প্রতিষেধকটি চলে আসায় আর তেমন কোনও বাধা নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে পদ্ধতিগত কারণে নিয়মমাফিক বৈঠক এবং ভোটাভুটি চালানো হলেও এফডিএ-এর কাছ থেকে ভ্যাকসিনটির অনুমোদন পাওয়া খুব একটা জটিল নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কারণ, প্রতিষেধকটির তৃতীয় দফার ট্রায়ালের তথ্য দেখে এফডিএ জানিয়েছে, তা ‘নিরাপদ এবং কার্যকরী’। অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই এক-ডোজ় বিশিষ্ট ভ্যাকসিনটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরবরাহ শুরু করতে তৎপর হোয়াইট হাউসও। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, প্রথম দিনেই কমপক্ষে ৪০ লক্ষ ডোজ় হাতে পেতে চায় তারা।
বিশ্ব জুড়ে চালানো ট্রায়ালে এই প্রতিষেধকটি করোনা প্রতিরোধে ৬৬% কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। যে সূত্র ধরে এ বার ভ্যাকসিনটিকে অনুমোদন দেওয়ার দিকে ঝঁুকেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। সামনের মাসের শুরুতেই ভ্যাকসিনটি নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করবে ‘ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি’। ১১মার্চের মধ্যেই এই অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ করা হতে পারে। অন্দরের গুঞ্জন তেমনটাই।
শুক্রবার থেকে প্রতিষেধক প্রদান কর্মসূচি শুরু হল দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই আবহে দূরত্ব-বিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা ও চার জনের বেশি জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ১৪ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের স্বাস্থ্য দফতর। আগামী সাত মাসের মধ্যে দেশের ৭০% প্রাপ্তবয়স্ককে প্রতিষেধক দেওয়া শেষ করার লক্ষ্য তাদের। পাশাপাশি এ দিন থেকে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু করেছে হংকং-ও। বছর শেষ হতে হতে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ককে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy