Advertisement
E-Paper

ফের কিমের ক্ষেপণাস্ত্র, চড়ছে পারদ

কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া। এ বারও সেই ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ল জাপানের উপকূলের কাছে। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোরীয় উপদ্বীপ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৭ ০৪:২৮

কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া। এ বারও সেই ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ল জাপানের উপকূলের কাছে। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোরীয় উপদ্বীপ।

উত্তর কোরিয়ার উত্তর পিয়নগন প্রদেশ থেকে আজ চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে সে দেশের সামরিক বাহিনী। চারটিই এসে পড়ে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরে জাপান সাগরে। জাপানের উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত এলাকা সে দেশের ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’। তার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পড়ায় ক্ষোভ বেড়েছে জাপানের। তীব্র অসন্তোষ জানিয়েছে আমেরিকাও।

কয়েক সপ্তাহ আগে একই ভাবে জাপান সাগরে এসে পড়েছিল উত্তর কোরিয়ার নয়া পুকগুকসং-২ ক্ষেপণাস্ত্র। কূটনীতিকদের মতে, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছেন। ফলে বার বার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছেন তিনি। তা ছাড়া সম্প্রতি মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে তাঁর সৎ ভাই কিম জং নামের খুনের পিছনেও উত্তর কোরীয় শাসকেরই হাত রয়েছে বলে ধারণা কূটনীতিকদের। নাম উত্তর কোরিয়ার একনায়কতন্ত্রের কট্টর সমালোচক ছিলেন। এ ভাবে কিম গোটা বিশ্বকে ফের কড়া বার্তা দিতে চাইছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রত্যাশিত ভাবেই আজ সুর চড়িয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা। জাপানি পার্লামেন্টে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব ভেঙে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।’’ আমেরিকা জানিয়েছে, প্রয়োজনে তারা সর্বশক্তি দিয়ে উত্তর কোরিয়ার মোকাবিলা করতে তৈরি।

সম্প্রতি ‘ফোল ঈগল’ নামে যৌথ মহড়া চালিয়েছে মার্কিন ও দক্ষিণ কোরীয় সেনা। সাধারণত এই ধরনের মহড়ার পরে শক্তি প্রদর্শন করে উত্তর কোরিয়া। কূটনীতিকদের মতে, আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার ফলেও উদ্বিগ্ন কিম। কারণ, বার বার বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনে আগ্রাসী অবস্থান নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন ট্রাম্প। ফলে পাল্টা কড়া বার্তা দিতে চাইছে পিয়‌ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে সম্প্রতি বাড়তি গতি আনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।

কিম যে নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব মানছেন না, সে কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছ‌ে তাঁর মিত্র দেশ চিনও। তবে একই সঙ্গে আমেরিকাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বেজিং। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘‘আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার বড় মাপের যৌথ মহড়াও আমাদের নজর এড়ায়নি। এমন পরিস্থিতিতে সব পক্ষেরই সংযত হয়ে চলা উচিত।’’

Kim Jong-un South Korea
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy