গরমের জেরে ঘরবন্দি বাসিন্দারা, শুনসান রাস্তাঘাট। ছবি: বিধান ভৌমিক
গরম বলে গরম! বাড়ি থেকে বেরনোর আগে মোবাইল অ্যাপে চোখ পড়লেই শরীরটা ছ্যাঁৎ করে উঠছে। শুক্রবারও অফিস বেরনোর সময় অ্যাপ দেখাচ্ছে, ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস! বাইরে বেরোলে গরমটা আরও বেশি। মাঝে তো এক দিন ৬৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছিল! ভাবলেই গা শিরশির করে ওঠে।
রাস্তাঘাট মোটের উপর শুনশান। খুব প্রয়োজন না থাকলে কেউ বাইরে বেরোন না। এ দেশে বেশির ভাগ মানুষেরই গাড়ি রয়েছে। সেই গাড়ি এবং বাড়ি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। রাস্তায় যে বাস ও ট্যাক্সি নামে— সেগুলো তো বটেই অফিস, দোকানপাট সবখানেই এসি রয়েছে। তবু রোদে তো বেরোতেই হয়। আর সেই বেরোনোর পর মনে হয়, গা-হাত-পা যেন পুড়ে যাচ্ছে!
বাড়িতে যে জলের ব্যবস্থা সে জল কোনও কিছুতেই ব্যবহার করা যায় না। জলের বোতল ফ্রিজে ভরে রাখতে হয়। সেই জল খাওয়ার পাশাপাশি হাতমুখ ধোওয়ার কাজেও লাগে। কারণ, বেসিনের জল এত্ত গরম যে কোনও ভাবেই তাতে হাত ছোঁয়ানো যায় না। স্নান করা আরও বিড়ম্বনার। দিনের বেলা স্নান করতে পারি না। জল এত গরম থাকে। রাতে অফিস থেকে ফিরে ও সব সারতে হয়। সেটাও আগের দিন রাতে স্নান করার পর বড় বড় ড্রামে তুলে রাখা জলে। ২৪ ঘণ্টা পর সেই জল মোটামুটি শরীরে ঢালার মতো পর্যায়ে পৌঁছয়। তার আগে যেন, আগুন! এ বছর শুনছি তাপমাত্রা আরও বাড়বে। ইতিমধ্যেই সানস্ট্রোকের একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
আরও পডু়ন: হাতের শিরা কাটা, রানিকুঠির নামী স্কুলের শৌচালয়ে উদ্ধার মেধাবী ছাত্রী, হাসপাতালে মৃত্যু
আরও পড়ুন: ভাটপাড়ায় দুই মৃতদেহ রাস্তায় নামিয়ে বিক্ষোভ, নতুন করে উত্তেজনা, ইট, লাঠি, কাঁদানে গ্যাস
শীতকালে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। কখনও কখনও মাইনাসের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। চার বছর এই কুয়েতে আছি। এ বারের গরম যেন অসহ্য হয়ে উঠছে। পশ্চিমবঙ্গের বাড়ি থেকে আজকেই ফোন পেলাম। শুনলাম ওখানে বর্ষা এসে গিয়েছে। আমরা এখানে কী উত্তাপের মধ্যে কাটাচ্ছি, তা আর বাড়ির লোককে বলিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy