প্রতীকী ছবি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করে যে সব সংস্থা, তাদের মধ্যে কয়েকটি মামলা করেছে ওই নীতির বিরুদ্ধে। খাদ্য এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যাঁদের সরকারি সাহায্য প্রয়োজন, এমন গ্রিন কার্ড আবেদনকারীদের উপরে কিছু নয়া বিধিনিষেধ চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে ওই সংস্থাগুলি।
তারা বলেছে, নয়া নিয়ম বৈষম্যমূলক। সংস্থাগুলির মতে, অনথিভুক্ত ব্যক্তিদের উপরে (সাধারণত যাঁরা স্বনির্ভর) এই নিয়ম অন্যায্য বোঝা তৈরি করবে। কারণ এই ব্যক্তি বা তাঁদের পরিবার যদি কখনও কোনও সরকারি সুবিধা নিয়ে থাকেন, তা হলে তাঁদের গ্রিন কার্ড দেওয়া হবে না। এই নয়া নিয়ম যাতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতর এখনই কার্যকর করতে না-পারে, তার জন্য ইতিমধ্যেই নিউ ইয়র্ক, ক্যালিফর্নিয়া, ওয়াশিংটন, ইলিনয় এবং মেরিল্যান্ডের ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট নির্দেশ জারি করেছে।
বৃহস্পতিবার দায়ের হওয়া নয়া মামলায় বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অক্টোবরের ডিক্রি নিয়ে বিদেশ দফতর যেন এখনই না-এগোতে পারে। এই মামলায় যুক্ত আইনজীবী সুজান ওয়েলবার বলেছেন, ‘‘স্বল্প বেতনের অ-শ্বেতাঙ্গ অভিবাসীরা যাতে ফের পরিবারের সঙ্গে জুড়তে না-পারেন এবং গ্রিন কার্ড না-পান, তার জন্যই নতুন নিয়মগুলো তৈরি করা হয়েছে। তাই এর বিরুদ্ধে মামলা করেছি আমরা।’’ এই সংক্রান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের যে তিনটি বিধিনিষেধ রয়েছে, তার তিনটিই বন্ধ করতে চান মামলার পক্ষে সওয়ালকারীরা। তাঁরা বলেন, ‘‘আমাদের মক্কেলরা আমেরিকায় তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যাতে জীবন কাটাতে না-পারেন, তার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন নিয়মের একটা অদৃশ্য প্রাচীর গড়ে তুলতে চায়। সেটাই রুখতে চাই আমরা।’’
ট্রাম্প প্রশাসন কড়াকড়ি শুরু করেছে এইচ১বি ভিসা নিয়েও। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আজ ওয়াশিংটনে বলেছেন, ভারত থেকে আমেরিকায় মেধাবী পড়ুয়াদের যাওয়ার যে ধারা রয়েছে, তাতে যেন বাধা তৈরি না-করে মার্কিন প্রশাসন। জয়শঙ্করের মতে, দুই দেশের আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy