
ইরানের বিমানবন্দরে হামলা ইজ়রায়েলের। ছবি: রয়টার্স।
পশ্চিম এশিয়ায় চলমান উত্তেজনার মধ্যে এ বার নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল কাতার। তবে কী কারণে এই সিদান্ত তা স্পষ্ট করা হয়নি। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবেই এই সিদ্ধান্ত মনে করছেন অনেকে। অন্য দিকে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, কাতারের দোহায় মার্কিনঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। দোহা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। যদিও ইরানের এই হামলা নিয়ে নিশ্চিত করে কোনও পক্ষই বিবৃতি জারি করেনি।
ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে আমেরিকার হামলার পরেই তেলের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই আবহেই সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘সকলকে’ তেলের দাম নিয়ে সতর্ক করলেন! সোমবার নিজের ট্রুথ সোশ্যালে তেলের দাম নিয়ে পর পর দু’টি পোস্ট করেন ট্রাম্প। প্রথম পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘সকলে তেলের দাম কম রাখুন। আমি কিন্তু নজর রাখছি।’’
অবিলম্বে ইরানের রাজধানী তেহরান খালি করার নির্দেশ দিল ইজ়রায়েলি ফৌজ। সোমবার তেহরান-সহ ইজ়রায়েলের একাধিক জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। আমেরিকার হামলার ২৪ ঘণ্টা পরেই ইরানের অন্যতম পরমাণুকেন্দ্র ফোরডোর প্রবেশপথের রাস্তায় হামলা চালায় তারা। এ ছাড়াও, ইরানের জেলেও পড়েছে ইজ়রায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র। তার পরেই ইজ়রায়েলি সেনার তরফে এই সতর্কতা জারি করা হল। অনেকেরই প্রশ্ন, ইজ়রায়েল কি তেহরানে বড় কোনও হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে?
হাইফায় ইরানের গুপ্তচর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ইজ়রায়েলের পুলিশ প্রশাসন। ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাতের আবহে সোমবার দুপুরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জ়াজ়িরা।
সোমবার দুপুরে ইজ়রায়েলি সেনা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফোরডো পরমাণুকেন্দ্রে সরাসরি হামলা চালানো হয়নি। বরং হামলা হয়েছে ফোরডো আসা-যাওয়ার পথে। আইডিএফ জানিয়েছে, মূলত ফোরডোগামী সব পথ বন্ধ করে দেওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
ইরানের এভিন জেল লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। তেমনটাই দাবি করেছেন কাট্জ়। ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও জানিয়েছে, এভিনের প্রবেশপথের ঠিক সামনেই হামলা চালানো হয়েছে। তবে ওই হামলায় কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
সোমবার দুপুরে তেহরানের প্রাণকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইজ়রায়েল কাট্জ় জানিয়েছেন, মূলত বিভিন্ন সরকারি প্রধান কার্যালয় এবং সামরিক দফতরই ইজ়রায়েলি বাহিনীর লক্ষ্য। তেহরানে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের বাসিজ বাহিনীর সদর দফতর, নিরাপত্তা বিষয়ক সদর দফতর, এভিন জেল, ইত্যাদি। সোমবার দুপুরে এভিনের প্রবেশপথের অদূরেও ইজ়রায়েল হামলা চালিয়েছে। কাট্জ় বলেন, ‘‘ইজ়রায়েলে প্রতিটি আক্রমণের জন্য ইরানের স্বৈরশাসককে শাস্তি পেতে হবে। সমস্ত শক্তি দিয়ে হামলা হবে।’’
তেহরানে ইজ়রায়েলের হামলার পরের একটি দৃশ্য সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তেহরানের আকাশ ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যম আল জ়াজ়িরা সূত্রে খবর, শহরের উত্তর প্রান্তে অন্তত তিনটি পৃথক হামলা হয়েছে।
আমেরিকার হামলার পর দিনই ফোরডো লক্ষ্য করে ফের হামলা চালাল ইজ়রায়েল। তেহরান এবং কারাজ় লক্ষ্য করেও হামলা চলছে বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার সকালে জেরুসালেমে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। জেরুসালেমের আকাশে একটি ক্ষেপণাস্ত্রও দেখা গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
উত্তর ইজ়রায়েল জুড়ে বাজতে শুরু করেছে সাইরেন! এমনটাই জানাচ্ছে সংবাদসংস্থা এএফপি। ইজ়রায়েলি সেনার সূত্রকে উদ্ধৃত করে এএফপি জানিয়েছে, সকাল থেকেই ইরান থেকে ছুটে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র। বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ইরানের ছ’টি বিমানবন্দরে হামলা করল ইজ়রায়েল। এমনটাই দাবি করেছে ইজ়রায়েলের সামরিক বাহিনী। তাদের আরও দাবি, ইজ়রায়েলি হামলায় ইরানের অন্তত ১৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে! এক্সে একটি পোস্টে আইডিএফ জানিয়েছে, রানওয়ে এবং ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার ছাড়াও অন্তত ১৫টি যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইজ়রায়েলের আরও এক গুপ্তচরকে মৃত্যুদণ্ড দিল ইরান। অভিযোগ, মহম্মদ আমিন মাহদাভি শায়েস্তেহ নামে ওই ব্যক্তি ইজ়রায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন। মোসাদের সাইবার বিভাগের প্রধান মাহদাভি ২০২৩ সালে গ্রেফতার হন। সোমবার তাঁকে ফাঁসিতে চড়ানো হয়েছে।
ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রবিবার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে লক্ষ্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ইজ়রায়েলি বাহিনী। পুরোপুরি লক্ষ্য়পূরণ না হওয়া পর্যন্ত হামলা চলবে। যদিও নেতানিয়াহু ঠিক কোন লক্ষ্যের কথা বলছেন, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
সোমবার সকালে পশ্চিম ইরানের একাধিক সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাতে শুরু করেছে ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েল সেনার বিবৃতি উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম আল জ়াজ়িরা জানিয়েছে, সোমবার সকালে পশ্চিম ইরানের কারমানশাহ অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলি বাহিনী।
সোমবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হতে পারে সেখানে।
সোমবার সকালে ইজ়রায়েলকে লক্ষ্য করে পাল্টা আক্রমণ শানাল ইরান। ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর দাবি, ইজ়রায়েলের দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র ধেয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। আইডিএফ-এর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘কিছু ক্ষণ আগেই একঝাঁক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। ইজ়রায়েলের বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বেজে উঠেছে।’’ যদিও আইডিএফ-এর একটি সূত্রের দাবি, ইরান একটি মাত্র ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল, ইজ়রায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা প্রতিহত করেছে।
ফের ইজ়রায়েলকে শাস্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খামেনেই। রবিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি সরাসরি ইজ়রায়েলের নাম না করে লিখেছেন, “শাস্তি দেওয়ার কাজ চলবে। জায়নবাদী (ইহুদি জাতীয়তাবাদী ভাবাদর্শ) শত্রুরা বড় ভুল করে ফেলেছে। বড় ধরনের অপরাধ করেছে। ওদের শাস্তি পেতেই হবে। ইতিমধ্যেই শাস্তি দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।”
মার্কিন হামলার পর থেকে একাধিক বার নিজের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ অ্যাকাউন্টে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী ইরানের ফোরডো, নাতান্জ় ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে ‘সফল’ হামলা চালিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্পের দাবি, এই হামলার পর ইরানের হাতে আর বোমা নেই। সোমবার ভোরেও আমেরিকান সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্রাম্প লেখেন, “ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণুকেন্দ্রগুলিতে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপগ্রহচিত্রেও তা স্পষ্ট। মাটির গভীরে গিয়ে ‘লক্ষ্যভেদ’ করেছে মার্কিন বাহিনী! এর আগে এই নজির আর কারও নেই।’’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে সোমবার মস্কো যাচ্ছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। রবিবার ইস্তানবুলে একটি সাংবাদিক বৈঠকে আরাগচি বলেন, ‘‘রাশিয়া ইরানের বন্ধু। আমাদের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে আমরা একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে নিজেদের অবস্থান স্থির করি।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জমানায় ইরানের সঙ্গে তিন বছরের যে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বা ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ) হয়েছিল, তাতে পাঁচ শক্তিধর রাষ্ট্রের সঙ্গে ছিল রাশিয়াও।
আরাগচির মন্তব্যের আগে মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা করে ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও বলা হয়েছে, ‘‘আমেরিকা যে কোনও নীতির ধার ধারে না, ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে আমেরিকা তা বুঝিয়ে দিল।’’ তবে নিরাপত্তা এবং জাতীয় স্বার্থরক্ষার স্বার্থে মার্কিন সেনার এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পূর্ণশক্তি দিয়ে লড়াই করার ক্ষমতা যে ইরানের রয়েছে, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy