Advertisement
E-Paper

গোটা বিশ্বে লকডাউনের হাল কী, জানাল গুগল

গুগল তার রিপোর্টে দেখিয়েছে লকডাউন মেনে চলে পৃথিবীর ১৩১ দেশে কী ভাবে গণপরিসরে মানুষের উপস্থিতির হার কমেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৩০
ছবি: রয়টার্স।

ছবি: রয়টার্স।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চিকিৎসাবিজ্ঞানী, গবেষকেরা যাতে আরও কার্যকর কৌশল বার করতে পারেন, সে জন্য তথ্য দিয়ে তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে এল গুগল। শুক্রবারই গুগল প্রকাশ করেছে ‘কোভিড-১৯ কমিউনিটি মোবিলিটি রিপোর্টস’। বিশ্বজুড়েই বিশেষজ্ঞরা যখন বারবারই করোনাভাইরাসের কমিউনিটি স্প্রেড বা গোষ্ঠী-সংক্রমণ রোখার জন্য ঘরবন্দি থাকার কথা বলছেন, তখন গুগল তার রিপোর্টে দেখিয়েছে লকডাউন মেনে চলে পৃথিবীর ১৩১ দেশে কী ভাবে গণপরিসরে মানুষের উপস্থিতির হার কমেছে।

গুগলের তরফে ব্লগ পোস্টে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বের নানা দেশের ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফে তাদের কাছে একাধিক বার অনুরোধ জানানো হচ্ছিল, গুগল ম্যাপের অবস্থান থেকে এ রকম কোনও তথ্য সামনে আনা যায় কি না।

এর ফলে কোন কোন জায়গায় লকডাউন সফল হচ্ছে, কতটা হচ্ছে সেই আন্দাজ পেয়ে গোষ্ঠী-সংক্রমণ ঠেকাতে পদক্ষেপ করতে প্রশাসনের সুবিধে হবে বলে গুগলের তরফে দাবি করা হয়েছে। গত দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত তথ্য এখানে রয়েছে। গত দেড়-দু’মাস ধরে কী ভাবে উপস্থিতির হার কমেছে, তারও আন্দাজ মিলবে রিপোর্ট থেকে।

গুগলের দেওয়া তথ্য থেকে স্পষ্ট, এ দেশে লকডাউনে নানা জায়গায় মানুষের উপস্থিতি ব্রিটেন ও আমেরিকার তুলনায় অনেকটা বেশি হারে কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে অবশ্য করোনাভাইরাসের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দুই দেশ— ইতালি ও স্পেনে। গুগল এই রিপোর্টে গণপরিসরকে ছ’টি ক্ষেত্রে ভাগ করেছে। সেগুলি হল, বিনোদনের জায়গা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান, পার্ক, গণপরিবহণের কেন্দ্র, কর্মক্ষেত্র ও বাড়ি।

রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দেশে বিনোদনের জায়গায় উপস্থিতি কমেছে ৭৭ শতাংশ, যা আমেরিকার থেকে অনেকটাই বেশি। আমেরিকায় তা কমেছে ৪৭ শতাংশ। ব্রিটেনে কমার হার ৮৫ শতাংশ। ইটালি ও স্পেনে ৯৪ শতাংশ করে উপস্থিতি কমেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জায়গা, যেমন মুদিখানা, ওষুধের দোকানে এ দেশের উপস্থিতি কমার হার ৬৫ শতাংশ, যা আমেরিকা (২২%) ও ব্রিটেনের (৪৬%) থেকে অনেকটাই বেশি। ইটালি ও স্পেনে তা কমেছে যথাক্রমে ৮৫ ও ৭৬ শতাংশ করে।

আরও পড়ুন: কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে, দাবি মার্কিন গবেষকদের

গণপরিসরে উপস্থিতির হার যেমন কমেছে, তেমনই বেড়েছে বাড়িতে উপস্থিতির হার। এ ক্ষেত্রে অবশ্য ভারতের বৃদ্ধির হার (২২%), ইটালি (২৪%) ও স্পেনের (২২%) মতোই। আমেরিকা ও ব্রিটেনে বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ১২ ও ১৫ শতাংশ।

তবে প্রযুক্তিবিদরা অনেকে দাবি করছেন, এই তথ্য যে-হেতু গুগল ম্যাপের অবস্থান থেকে নেওয়া, তাই বাড়িতে থাকার হার আরও বেশি হতে পারে। রিপোর্টে তা নেই, কারণ বাড়িতে অনেকেই ফোনের লোকেশন সেটিংস অফ করে রাখেন। বাইরেও সকলে লোকেশন অন করেন না বলে অন্য তথ্যও পুরোপুরি ঠিক না হলেও রিপোর্ট থেকে একটা আন্দাজ মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বজুড়েই যখন বিতর্ক চলছে, তখন গ্রাহকের এমন তথ্য নিয়ে তৈরি গুগলের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। গুগলের তরফে অবশ্য ব্লগ-বার্তায় আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কারও ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। পরে হাসপাতাল চত্বরেও প্রয়োজনীয় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে কি না, তা তারা এই পদ্ধতিতে জানার চেষ্টা করবে বলেও গুগলের দাবি।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

Coronavirus COVID-19 Google Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy