অ্যামাজনের চাকরির আশায় ভোর ৪টে থেকেই ভিড় চোখে পড়েছে আমেরিকার বিভিন্ন এলাকায়। ছবি: সংগৃহীত।
ভোর হতে না হতেই আমেরিকার বিভিন্ন এলাকায় লম্বা লাইন। গরম উপেক্ষা করেও লাইনে ভিড় জমিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। শুধুমাত্র একটা চাকরির আশায়। বৃহস্পতিবার এমন ছবি দেখা গিয়েছে সে দেশের ১২টি জায়গায়। ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন গোটা মার্কিন মুলুক জুড়েই ‘জবস ফেয়ার’-এর আয়োজন করেছে। সেই লাইনেই উপতে পড়া ভিড়।
ওই সাইটের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৮-র মধ্যে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যমাত্র স্থির করা হয়েছে। চলতি মাসেই ৫০ হাজার কর্মী নিয়োগ করবে তারা। ইতিমধ্যেই আমেরিকার বাফেলো, নিউ ইয়র্ক, ওহাইয়োর মতো জায়গা থেকে কর্মী নিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন
গুজরাতে রাজ্যসভা ভোটের ব্যালটে ‘নোটা’ থাকছে: জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
বাল্টিমোর, টেনেসি, ওয়াশিংটন— সংস্থার ওয়্যারহাউসের বাইরে আয়োজিত ‘জবস ফেয়ার’-এ দিন ভোর ৪টে থেকেই ভিড় চোখে পড়েছে। অ্যামাজন জানিয়েছে, শুধুমাত্র বাল্টিমোর থেকেই সংস্থায় কাজের সুযোগ পাবেন ১২০০ জন। ওই কর্মসংস্থান মেলা থেকেই ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে কর্মীদের। কর্মীদের জন্য মোটা মাইনের সঙ্গে রয়েছে অবসরের পর স্বাস্থ্য ও শারীরিক অক্ষমতাজনিত বিমা। সংস্থায় শেয়ারের অংশীদার হওয়ার মতো লোভনীয় সুযোগ।
বাল্টিমোরে কাজের খোঁজে এসেছিলেন ৪৪ বছরের লিজা পেনড্রাই-ও। গত ন’বছরে আট বার চাকরি খুইয়েছেন। গত তিন মাস ধরে কর্মহীন। তিন সন্তানের মা লিজা বলেন, “কী কাজ সেটা বড় কথা নয়। আমার শুধু একটা কাজ চাই!” শুধুমাত্র লিজাই নন। তাঁর মতো অসংখ্য মার্কিনি দেশ জুড়ে অ্যামাজনের ওয়্যারওহাউসের লাইনে দাঁড়িয়েছেন। একটা চাকরির খোঁজে।
আরও পড়ুন
শত্রু নন কিম, উল্টো মার্কিন সুরে ধোঁয়াশা
অ্যামাজনের মানবসম্পদ বিভাগের ভাইস প্রেসি়ডেন্ট জন ওলসেন জানিয়েছেন, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ছাড়াও কর্মীরা চাইলে চাকরির প্রথম দিন থেকেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন।
প্রতি মাসে আমেরিকায় ১ থেকে ২ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। অ্যামাজনের চাকরি তাই শুধু লিজার জীবনই নয়, বদলে দিতে পারে আমেরিকার চলতি মাসের কর্মসংস্থানের ছবিটাও। এমনটাই মনে করেন শ্রমঅর্থনীতিবিদরা। এমআইটি-র উদ্যোগে গঠিত ডিজিটাল ইকোনমি বিশেষজ্ঞ তথা তার সহ-ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু ম্যাকাফি বলেন, “এক মাসে ৫০ হাজারের কর্মসংস্থান খুবই বড় বিষয়। তা যদি সত্যিই হয় তবে অগস্ট মাসের এ দেশের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত পরিসংখ্যানে বড়সড় প্রভাব পড়বে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy