কেএফসি-র সেই ‘ইঁদুর ভাজা’। ছবি: ইন্সটাগ্রাম।
ডুবো তেলে এ-পিঠ ও-পিঠ স্নান সারার পরে তার গায়ে ধরেছে সোনালি আভা। সুস্বাদু মুচমুচে আবরণের নীচে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে স্বাদ রহস্য। আর রয়েছে সুন্দর একটা পাকানো লেজ। কালে কালে কী যে হল, কেএফসি চিকেনেরও লেজ গজাল?
উঁহু! কেএফসি থেকে বিক্রি হলেও আদতে তা আস্ত ইঁদুর ভাজা। এক কামড় দেওয়ার পরে সে রকমই অন্তত দাবি তুললেন ক্যালিফোর্নিয়াবাসী ডিভোরাইজ ডেক্সটন।
এবং শুধু দাবি তুলেই ক্ষান্ত রইলেন না। সঙ্গে সঙ্গে নিজের ইন্সটাগ্রামে একটা ভিডিও করে ফেললেন ওই ভাজা ইঁদুরের। স্বাভাবিক ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তো বটেই, কেএফসি সংস্থাতেও জোর হুলুস্থুলু চলছে বিষয়টা নিয়ে।
ডেক্সটনের দাবি, প্রথমে তিনিও ছিটেফোঁটা সন্দেহ করেননি। নগদ কড়ি ফেলে, বেশ খুশি মনেই তিন টুকরো ভাজা মাংস নিয়ে বসেছিলেন খেতে। তারিয়ে তারিয়ে এক কামড় দেওয়ার পরেই তাঁর টনক নড়ে— মাংস এমন রবারের মতন লাগছে কেন? মনে হওয়া মাত্র জিনিসটাকে চোখের সামনে এনে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখেন তিনি। তার পরেই চরম বিস্ময় আর পরম উপলব্ধি সঙ্গে নিয়ে একান্তই না কি জনস্বার্থে ইন্সটাগ্রামে কেএফসি-র জারিজুরি ফাঁস করে দেন ভদ্রলোক।
ভিডিওটার নীচে ডেক্সটন লিখছেন, “ভাল করে লক্ষ করে দেখি, জিনিসটার একটা লম্বা লেজ আছে। চেহারাটাও হুবহু ইঁদুরের মতো! ব্যাপারটা বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে আমার সারা শরীরে আতঙ্কের একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল। এখনও মুখে ওই স্বাদটা লেগে রয়েছে। কিচ্ছু খেতে পারছি না। রীতিমতো অসুস্থ লাগছে। দয়া করে দেখুন, বিশ্বাস করে কিনে আপনারা কী খান!”
এখানেই অবশ্য থেমে থাকেননি ডেক্সটন। ভিডিওর পাশাপাশি একটা ছবিও পোস্ট করেন ওই ভাজা মাংসের। ছবিটায় সাফ দেখা যাচ্ছে, জিনিসটায় এক কামড় দিয়েছেন তিনি!
তার পর? কেএফসি কী বলছে ব্যাপারটা নিয়ে?
কেএফসি-র দাবি, ঘটনাটা জানার পরে বার বার ডেক্সটনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কিছুতেই ফোন তুলছেন না, ই-মেলের উত্তর দিচ্ছেন না। “ঘটনাটা একেবারেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, এটার সঙ্গে ভারতের কোনও সম্পর্ক নেই। ক্রেতারা কোনও অভিযোগ করলে আমরা সেটাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিই। এখানেও তাই করছি। চিকেন টেন্ডার নামের যে পদটি কিনেছিলেন তিনি, সেটার কোনও নির্দিষ্ট আকার থাকে না। সে দিন ডেক্সটনকে বিশুদ্ধ চিকেনই দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া সমস্যা হল, জিনিসটা নিজের সঙ্গেই নিয়ে চলে গিয়েছেন ডেক্সটন। আমরা ওই ভাজা মাংসটা নিজেদের খরচে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখতে চাই। তাহলেই একমাত্র সত্যিটা জানা যাবে। কিন্তু ডেক্সটন আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না”, বলছে কেএফসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy