নস্ট্যালজিক হলেন মার্ক জুকেরবার্গ। ১৩ বছর আগের ফেলে যাওয়া সেই ঘর, ফেসবুকের জন্মস্থান দেখতে হার্ভার্ডের সেই হস্টেলে ফিরে এসে যেন স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়লেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গ।
২০০৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘরটাই ছিল কিশোর জুকেরবার্গের ঠিকানা। এখানেই সাইকোলজি নিয়ে পড়োশোনা শুরু করেছিলেন তিনি। পড়ার পাশাপাশি চলত নতুন নতুন উদ্ভাবনে বুঁদ হয়ে থাকা। এখানেই প্রথমে ‘ফেসম্যাস’ তৈরি করেছিলেন মার্ক। কিন্তু ‘ফেসম্যাস’ ব্যর্থ হওয়ার পর মার্কের হাত ধরে এই ঘরেই জন্ম হয়েছিল ফেসবুকের।
মঙ্গলবার কির্কল্যান্ড ডর্মের সেই ঘরেই স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের হাত ধরে পৌঁছে গিয়েছিলেন মার্ক। হার্ভার্ডের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য সম্প্রতি আমন্ত্রিত ছিলেন বিশ্বদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মার্ক। কিন্তু অফিসিয়াল কাজ পাশে সরিয়ে, ফেলা আসা কলেজ দিনগুলোর স্মৃতিতে মজে গেলেন ফেসবুক দম্পতি। ২৩ মিনিটের একটি ফেসবুক লাইভও করলেন তাঁরা।
দেখুন সেই ভিডিও
সেখানেই ফুটে উঠল জুকেরবার্গের সেই ঘর, সেই কম্পিউটার ডেস্ক, চেয়ার। যেখানে ঐতিহাসিক ম্যাজিক ঘটিয়েছিলেন মার্ক। নিজেই বললেন, ‘‘১৩ বছর আগে এই ঘর ছেড়ে গিয়েছিলাম, এখানেই আমার জীবনের সেরা ঘটনাগুলো ঘটেছে। আমি সত্যিই থ্যাঙ্কফুল।’’
হার্ভার্ডের এই ঘরে বসে যখন প্রথম ‘ফেসম্যাস’ তৈরি করেছিলেন, তখন সুরক্ষার বিষয়ে ততটা নজর দিতে পারেননি মার্ক। তার ফল হয়েছিল মারাত্মক। কলেজের যে পড়ুয়ারা ‘ফেসম্যাস’-এর সদস্য হয়েছিলেন সকলেই অভিযোগ জানাতে শুরু করেন, তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য লিক হয়ে যাচ্ছে। তৎক্ষণাৎ কলেজ কর্তৃপক্ষ ‘ফেসম্যাস’ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন জুকেরবার্গকে। ‘ফেসম্যাস’-এর ব্যর্থতার পরেই ২০০৪-এর জানুয়ারিতে তৈরি হয় ফেসবুক। জুকেরবার্গের রুমমেট জো গ্রিনও এই কাজের অন্যতম সৈনিক। অথচ একসময় ‘ফেসম্যাস’-এর ভরাডুবির পর গ্রিনের বাড়ি থেকে মার্কের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতেও নিষেধ করা হয়েছিল। এখন বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী মার্কের কোম্পানির কো-ফাউন্ডার গ্রিন।
হাভার্ডের ক্যান্টিনে মার্ক ও প্রিসিনা। ছবি:ফেসবুকের সৌজন্যে।
পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয় ফেসবুক কর্তার সেই ভিডিওটি। ৫ কোটি ৮০ লক্ষ ভিউয়ার ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন সেটি। ৬ লক্ষ ১৯ হাজার কমেন্টও পড়েছে ভিডিওটিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy