জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা বাহিনী তৈরির ঘোষণা করা হয়েছে কিছু দিন আগে। এ বারে সামনে আসা একটি অডিয়ো ক্লিপে জইশের প্রধান মাসুদ আজ়হারকে বলতে শোনা গেল, পাকিস্তানের প্রতিটি জেলায় এক এক জন মুনতাজ়িমা অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়িকার নেতৃত্বে গড়ে তোলা হবে জামাত-উল-মোমিনাত নামে সেই বাহিনীর শাখা। আর তাতে যোগ দিলেই ‘মৃত্যুর পরে সটান স্বর্গে যাওয়া যাবে’।
২১ মিনিটের অডিয়ো ক্লিপে মাসুদ মহিলা বাহিনীর খুঁটিনাটি অনেক কথা জানিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সেটি পাকিস্তানের ভাওয়ালপুরে জইশের মূল ঘাঁটি মার্কাজ় উসমান-ও-আলিতে মাসুদের দেওয়া বক্তৃতা বলে মনেকরা হচ্ছে।
ওই অডিয়ো ক্লিপে মাসুদকে বলতে শোনা গিয়েছে, জইশের শত্রুরা ‘হিন্দু মেয়েদের সেনায় নিয়ে আসছে’। টক্কর দিতে সে-ও মহিলাদের একজোট করছে। পুরুষ জিহাদিদের সমান তালে তালিম হবে সেই মহিলাদের। তবে ফরমানও থাকছে, ‘স্বামী অথবা নিকটাত্মীয় ছাড়া কোনও পরপুরুষের সঙ্গে ফোনে বা চ্যাটে কথা বলা চলবে না’। ‘এ মুসলমান বহেনা’ নামে নিজের লেখা একটি বই তাদের ভাল করে পড়তে বলেছে মাসুদ।
জইশের এই মহিলা বাহিনীর শীর্ষে রয়েছে মাসুদের বোন সাদিয়া। মাসুদ জানিয়েছে, পুরুষ জিহাদিদের ‘দৌরা-ই-তারবিয়াত’-এর মতো ১৫ দিন ধরে মার্কাজ় উসমান-ও-আলিতে ‘দৌরা-ই-তসকিয়া’ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে মহিলাদেরও। পরের ধাপে হবে তাত্ত্বিক মগজধোলাই, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘দৌরা-আয়াত-উল-নিসা’।
সংসদ ভবন থেকে পুলওয়ামায় সেনার কনভয়, গত পঁচিশ বছরে নানা জঙ্গি হামলার নেপথ্যে থাকা জইশের ভাওয়ালপুরের সদর ঘাঁটিতে ভারতীয় বাহিনী অভিযান চালিয়েছিল গত মে মাসে। সেই ‘অপারেশন সিঁদুরে’ মাসুদের পরিবারের ১৪ জন নিহত হয়েছিল। বক্তৃতায় মাসুদ জানিয়েছে, নিহতদের চার-পাঁচ জন নিকটাত্মীয়া জইশের মহিলা বাহিনীতে রয়েছে। বলেছে, ওই অভিযানে নিহত হওয়ার আগে মহিলা বাহিনী তৈরি করা নিয়ে দিদি হাওয়া বিবির সঙ্গেও কথা হয়েছিল তার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)