ফের জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপিন্স। শুক্রবার ভারতীয় সময় অনুসারে সকাল ৭টা ১৩ মিনিটে (স্থানীয় সময়ে সকাল ৯টা ৪৩) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশে পূর্ব উপকূলবর্তী মিনদানাও কেঁপে ওঠে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৬। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি হয়েছে মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের জেরে সমুদ্র উপকূল বরাবর ৩০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এই ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে ফিলিপিন্সের উপকূল এলাকায় থাকা বাসিন্দাদের সমুদ্র থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হয়েছে। আগামী তিন ঘণ্টায় ভূকম্প-পরবর্তী কম্পন (আফটারশক) এবং জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের সুনামি সতর্কতা কেন্দ্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, ফিলিপিন্সের উপকূলবর্তী এলাকায় ঢেউয়ের উচ্চতা তিন মিটার পর্যন্ত হতে পারে। তুলনায় কম উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে ইন্দোনেশিয়ায়। ইতিমধ্যেই দু’টি প্রদেশে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে ইন্দোনেশিয়া প্রশাসন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ফিলিপিন্স। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সে দেশের সেবু প্রদেশের বোগো এবং পার্শ্ববর্তী ছোট শহরগুলি। ওই ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ফিলিপিন্সে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র বোগো শহরেই অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধসে পড়েছে একের পর এক বাড়ি, নাইটক্লাব এবং অন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এর উপর রয়েছে ফিলিপিন্স। এই ‘রিং অব ফায়ার’ বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। ভূমিকম্পের পাশাপাশি প্রতি বছর কম করে ২০টি টাইফুন এবং উপকূলবর্তী ঝড়ের সম্মুখীন হয় দেশটি। ১৯৯০ সালে দক্ষিণ ফিলিপিন্সে ভূমিকম্পে কমপক্ষে দু’হাজার বাসিন্দার মৃত্যু হয়। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭।