হোয়াইট হাউসের বিক্ষোভ। ছবি: রয়টার্স।
‘ইহুদি রাষ্ট্র চাই না’, কিংবা ‘গাজায় মানুষ হত্যা বন্ধ করা হোক’। এমন সব স্লোগানেই সরগরম হয়ে উঠল খাস আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন। শুধু তাই নয়, হোয়াইট হাউসের অনতিদূরে দাঁড়িয়েই প্রতিবাদীরা অভিযোগ তুললেন যে, গাজ়ায় গণহত্যাকে সমর্থন জোগাচ্ছে জো বাইডেনের প্রশাসন। মানবিক কারণে গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার দাবি বেশ কিছু দিন ধরেই উঠছে। এ বার আমেরিকার অন্দরমহল থেকেও এই দাবির সপক্ষে আন্দোলন জোরদার হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে।
শনিবার বিকেলে ওয়াশিংটনে বেশ কিছু মানুষ জড়ো হন। প্রত্যেকের হাতেই ছিল প্যালেস্তিনীয় পতাকা। প্যালেস্তাইনকে মুক্ত করার দাবি সংবলিত স্লোগান তুলে তাঁরা মিছিল করে হোয়াইট হাউসের দিকে এগোতে থাকেন। অবশ্য পুলিশ মাঝপথেই তাঁদের আটকে দেয়। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই ছিলেন তরুণ এবং মধ্যবয়স্ক। হোয়াইট হাউসের কাছাকাছি গিয়ে তাঁরা রাস্তায় লাল রং করে দেন। এই লাল রংকে রক্তাক্ত গাজ়ার প্রতীক হিসাবে ব্যাখ্যা করেন বিক্ষোভকারীরা।
যুদ্ধ থামাতে ইতিমধ্যেই আমেরিকার উপর চাপ সৃষ্টি করছে আরব দেশগুলি। আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পশ্চিম এশিয়াতেই আছেন। তাঁর কাছে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন জর্ডন এবং মিশরের প্রতিনিধিরা। যুদ্ধের টাটকা ক্ষত হিসাবে তাঁরা তুলে ধরেছেন গাজ়ায় ইজ়রায়েলের সাম্প্রতিকতম হামলা, যা নতুন করে ৬৮ জনের প্রাণ কেড়েছে। গাজ়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জ চালিত একটি স্কুল বর্তমানে হাসপাতাল এবং শরণার্থী শিবির হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যুদ্ধে যাঁরা আহত, তাঁদের চিকিৎসা চলছে সেখানে। ঘরবাড়ি হারিয়েছেন যাঁরা, তাঁরাও সেখানেই আশ্রয় নিয়েছেন। এমন একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইজ়রায়েল বোমা ফেলেছে বলে অভিযোগ। যাতে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাকে সামনে রেখে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে মিশর এবং জর্ডন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy