Advertisement
E-Paper

‘ফার্স্ট লেডি!’ ইভানার মন্তব্যে খাপ্পা মেলানিয়া

প্রেসিডেন্টের প্রাক্তন স্ত্রী এবং ইভাঙ্কার মা সম্প্রতি একটি স্মৃতিকথা লিখেছেন, যার নাম ‘রেজিং ট্রাম্প’।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২৬
প্রথমা: ইভানা ট্রাম্প ও তৃতীয়া: মেলানিয়া ট্রাম্প

প্রথমা: ইভানা ট্রাম্প ও তৃতীয়া: মেলানিয়া ট্রাম্প

তুই ‘ফার্স্ট লেডি’ না আমি! লেগে গিয়েছে দুই সতীনে ঝগড়া।

যদিও ব্যাকরণগত ভাবে অবশ্য এক জনকে আর সতীন বলা যায় না। এখন তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রাক্তন স্ত্রী। কিন্তু তাতে কী! ট্রাম্পের সঙ্গে বিচ্ছেদ না হলে ‘ফার্স্ট লেডি’ই তো হতেন। শত হলেও তিনিই তো প্রথম স্ত্রী! তাই সে অর্থে ‘ফার্স্ট লেডি’-ও! এক সাক্ষাৎকারে ইভানা তেমনটাই বলেছেন। আর তাতেই আগুনে ঘি পড়েছে। ইভানার মন্তব্যে বিরক্ত বর্তমান ফার্স্ট লেডি এবং ট্রাম্পের তৃতীয় স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, নজর কাড়তেই এ সব উল্টোপাল্টা কথা বলছেন ইভানা।

প্রেসিডেন্টের প্রাক্তন স্ত্রী এবং ইভাঙ্কার মা সম্প্রতি একটি স্মৃতিকথা লিখেছেন, যার নাম ‘রেজিং ট্রাম্প’। আর সেই বইয়ের প্রচার উপলক্ষে সোমবার ইভানা ট্রাম্প সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন একটি টিভি চ্যানেলে। সেখানেই তিনি জানান, প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালই। প্রতি দু’সপ্তাহে এক বার কথা হয়। হোয়াইট হাউসে তাঁর একটি ‘ডিরেক্ট’ নম্বরও আছে বলে দাবি করেন ইভানা। তবে সে নম্বর তিনি ব্যবহার করেন না। এর পরেই হাসতে হাসতে তিনি বলে বসেন, ‘‘মেলানিয়া ওখানে আছে। আমি কোনও ঈর্ষার কারণ হতে চাই না! কারণ আমি ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রী। আমিই তো ফার্স্ট লেডি, তাই না?’’

আরও পড়ুন:আমাদের ভুল হয়েছিল, চিনকে বোঝাচ্ছে রাশিয়া

এই সব কথা শুনে প্রাথমিক ভাবে প্রতিক্রিয়া না জানালেও মঙ্গলবার ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প তাঁর প্রচার অধিকর্তা স্টেফানি গ্রিশামের মাধ্যমে বলেছেন, ‘‘উনি (ইভানা) নিজের ঢাক পেটাচ্ছেন। প্রচার পাওয়ার চেষ্টা।’’ গ্রিশাম পরে মেলানিয়া সম্পর্কে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে ইভানাকে ঠুকে জানান, ‘মিসেস ট্রাম্প (মেলানিয়া) হোয়াইট হাউসকে ব্যারন (মেলানিয়া-ট্রাম্পের ছেলে) আর প্রেসিডেন্টের জন্য ‘বাড়ি’তে রূপান্তরিত করেছেন। ওয়াশিংটনে থাকতে উনি ভালবাসেন। আমেরিকার ফার্স্ট লেডি হিসেবে উনিই সম্মান পান। উনি শিশুদের সাহায্য করার জন্য এই খেতাব ব্যবহার করেন, নিজের কোনও বই প্রচারের জন্য নয়।’ এই প্রসঙ্গে গ্রিশামের সাফ কথা, ‘‘প্রাক্তন স্ত্রীর মন্তব্যে কোনও সারবত্তা নেই। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তাতে শুধুই প্রচারের আলো কাড়ার চেষ্টা রয়েছে।’’

মেলানিয়ার এমন প্রতিক্রিয়ায় অনেকেই একটু অবাক। এমন বিতর্কে প্রাথমিক ভাবে তিনি দূরত্ব বজায় রেখেই উচিত কাজ করেছিলেন বলে মনে করছেন হোয়াইট হাউস ঘনিষ্ঠ অনেকে। সাধারণত মেলানিয়া সেটাই করেন। বলে থাকেন, তাঁর ‘মোটা চামড়া’। তিনি সমালোচনার ভয় পান না। ছেলে ব্যারনের ভালমন্দেই তাঁর সব চেয়ে বেশি নজর। তাঁর স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রী-র স্মৃতিকথা প্রকাশের সময় মেলানিয়া যাবেন ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া। সেখানে অসুস্থ শিশুদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।

ইভানার স্মৃতিকথায় ট্রাম্পের প্রশংসার পাশাপাশি নিন্দেও রয়েছে। মার্লা মেপলসের (যিনি পরে ট্রাম্পের দ্বিতীয় স্ত্রী হন) সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তেই ১৯৯২ সালে ইভানার সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানেন ট্রাম্প। ইভানার দাবি, ‘‘বিচ্ছেদের সময় নিষ্ঠুর ট্রাম্পকে দেখেছিলাম। ওঁর কাছে বিচ্ছেদটাও যেন একটা ব্যবসায়িক চুক্তি, যেটা ওঁকে জিততেই হবে।’’ এখন অবশ্য তাঁদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।

এই ইভানা সম্পর্কে ২০০৯ সালে নিজের বই ‘দ্য ট্রাম্প কার্ড’-এ ইভাঙ্কা লিখেছিলেন, ‘‘আমার মায়ের অফুরান প্রাণশক্তি। কোনও একটা জায়গায় উনি আটকে যাননি ওই জন্যই।’’

Ivana Trump Melania Trump First Lady ইভানা ট্রাম্প মেলানিয়া ট্রাম্প
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy