রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ব্যক্তিগত ভাবে চিঠি লিখলেন আমেরিকার ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। স্বামী ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত দিয়েই সেই চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক হয়েছে। হোয়াইট হাউস সূত্র উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৈঠক চলাকালীন মেলানিয়ার লেখা চিঠি পুতিনের হাতে তুলে দিয়েছেন ট্রাম্প।
কী আছে চিঠিতে? রুশ প্রেসিডেন্টের কাছে ব্যক্তিগত ভাবে কী এমন বার্তা পাঠালেন আমেরিকার ফার্স্ট লেডি?
আরও পড়ুন:
চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে খোলসা করে বলতে চায়নি হোয়াইট হাউস সূত্র। তবে এটুকু জানা গিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে যে সমস্ত শিশুরা সমস্যায় পড়েছে, তাদের কথা লিখেছেন মেলানিয়া। যুদ্ধের ভুক্তভোগী শিশুদের দিকে পুতিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে শিশুদের বিষয়টি প্রথম থেকেই যথেষ্ট সংবেদনশীল। অভিযোগ, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেন থেকে অনেক শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের দাবি, তিন বছরে অপহৃত শিশুর সংখ্যা কয়েক লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পরিবার বা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই ওই সমস্ত শিশুকে দিনের পর দিন রাশিয়া বা রাশিয়া অধিকৃত এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে। রুশ বাহিনীর এই আচরণকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়েছে ইউক্রেন।
মস্কো অবশ্য এ বিষয়ে প্রথম থেকেই অন্য যুক্তি দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, শিশুরা দুর্বল। তাই যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার দফতর রাশিয়ার এই আচরণের প্রতিবাদ করেছে। জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের লক্ষ লক্ষ শিশুকে যন্ত্রণা দিচ্ছে রাশিয়া। তাদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। ট্রাম্পের স্ত্রী এই বিষয়টিকেই ব্যক্তিগত চিঠির মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্টের সামনে তুলে ধরতে চাইলেন।
শুক্রবার আলাস্কায় বৈঠক করেছেন ট্রাম্প এবং পুতিন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলেছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে এই বৈঠকে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দুই রাষ্ট্রনেতার দাবি, বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এর পর বাকি দায়িত্ব ইউক্রেনের প্রেসি়ডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির। তাঁকে পুতিনের সঙ্গে চুক্তি করার পরামর্শও দিয়েছেন ট্রাম্প। শীঘ্রই পুতিন এবং জ়েলেনস্কির মধ্যে বৈঠক হতে পারে। তাতে ট্রাম্পও উপস্থিত থাকতে পারেন। শুক্রবারের বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসি়ডেন্টের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ আচরণের প্রশংসা করেছেন পুতিন। যুদ্ধ থামিয়ে ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর বিষয়ে তিনিও আশাবাদী।