Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Tibet

কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির অজুহাতে ঘরবন্দি রাখছে চিন প্রশাসন, বিক্ষোভ তিব্বতের রাজধানী লাসায়

লকডাউনের কারণে লাসায় আটকে পড়াদের অধিকাংশই চিনের প্রাচীন হান-চৈনিক সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁরা মূলত পরিযায়ী শ্রমিক, কাজের সন্ধানে চিনের অন্যান্য প্রদেশ থেকে লাসায় এসেছিলেন।

বিক্ষোভের ছবি।

বিক্ষোভের ছবি। ভিডিয়ো থেকে প্রাপ্ত ছবি।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৪৫
Share: Save:

কোভিড অতিমারির ভয়াবহতা থেকে অনেকটাই মুক্ত হয়েছে বিশ্ব। কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা, সংক্রমণের হারও। তবে সম্পূর্ণ অন্য পরিস্থিতি চিনে। তিব্বতের আঞ্চলিক রাজধানী লাসায়। সেখানে নাকি ৮০ দিনের উপর লকডাউন চালিয়ে যাচ্ছে চিনের কেন্দ্রীয় প্রশাসন। আর তার বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে জনতা। ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় পুলিশ এবং জনতার মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে বলে দাবি একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের। চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সোশ্যাল মিডিয়াতেই সেই বিক্ষোভের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সরকারি ভাবে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি চিন।

লকডাউনের কারণে লাসায় আটকে পড়াদের অধিকাংশই চিনের প্রাচীন হান-চৈনিক সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁরা মূলত পরিযায়ী শ্রমিক, কাজের সন্ধানে চিনের অন্যান্য প্রদেশ থেকে লাসায় এসেছিলেন। কিন্তু কোভিড সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাওয়ার কথা বলে ফের লকডাউনের পথে হেঁটেছে চিন প্রশাসন। চিনের যে কয়েকটি শহরে এখনও লকডাইন এবং অন্যান্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলা হচ্ছে, লাসা তার মধ্যে অন্যতম।

আগেও বিক্ষিপ্ত ভাবে বিক্ষোভ চললেও গত বুধবারের বিক্ষোভটিকেই এ যাবৎকালের সব চেয়ে বড় প্রতিবাদী জমায়েত বলা হচ্ছে। বিক্ষোভের ১০০টিরও বেশি ভিডিয়ো চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীরা ‘আমরা বাড়ি যেতে চাই’ স্লোগান তুলে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারপরই শুরু হয় জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ।

বিক্ষোভকারীদের একাংশ ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োগুলিতে জানিয়েছেন, একটি ছোট জায়গার ভিতর তাঁদের থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে, বাইরে বেরোলেই পুলিশ জরিমানা করছে। তাঁদের আরও অভিযোগ এর ফলে লাসায় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, বাড়ির মালিকরা বকেয়া ভাড়ার জন্য ভাড়াটেদের হুমকি দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি চিনের প্রশাসন কোভিড সংক্রমণের আসল তথ্য লুকিয়ে সকলকে বিভ্রান্ত করছে।

বস্তুত, কোভিড নিয়ন্ত্রণে চিনের আগ্রাসী নীতি জনজীবন এবং অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করেছে বলে মনে করছেন সে দেশেরই বাসিন্দাদের একাংশ। তিব্বত চিনের কেন্দ্রীয় প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত একটি স্বশাসিত প্রদেশ। তবে চিন দাবি করে থাকে যে, তিব্বতকেও ধাপে ধাপে চিনের মূল প্রশাসনের অঙ্গীভূত করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tibet China Protest Lockdown Covid
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE