Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
International News

প্রতিবন্ধী সাংবাদিককে ব্যঙ্গ, ট্রাম্পকে তীক্ষ্ণ আক্রমণ মেরিল স্ট্রিপের

ডোনান্ড ট্রাম্পকে নিশানা করার জন্য রবিবার গোল্ডেন গ্লোবের মঞ্চকেই বেছে নিলেন মেরিল স্ট্রিপ। প্রতিবন্ধী এক সাংবাদিককে ব্যঙ্গ করায় প্রেসিডেন্ট ইলেক্টকে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করলেন মেরিল।

গোল্ডেন গ্লোবের মঞ্চে সরব মেরিল স্ট্রিপ। ছবি: সংগৃহীত।

গোল্ডেন গ্লোবের মঞ্চে সরব মেরিল স্ট্রিপ। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ১৮:১৭
Share: Save:

ডোনান্ড ট্রাম্পকে নিশানা করার জন্য রবিবার গোল্ডেন গ্লোবের মঞ্চকেই বেছে নিলেন মেরিল স্ট্রিপ। প্রতিবন্ধী এক সাংবাদিককে ব্যঙ্গ করায় প্রেসিডেন্ট ইলেক্টকে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করলেন মেরিল।

নির্বাচনী জনসভায় এক প্রতিবন্ধী সাংবাদিককে নকল করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন ট্রাম্প। সরাসরি ট্রাম্পের নাম না করে ওই সন্ধ্যায় মেরিল তাঁর তুমুল সমালোচনায় মুখর হন। মেরিল বলেন, “জনগণের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কোনও ক্ষমতাশালীর এ ধরনের অপমান করার প্রবণতা জনমানসে ছড়িয়ে যায়। এতে তাঁরাও একই জিনিস করার অনুমতি পেয়ে যান।”

আরও পড়ুন

গোয়েন্দাদের উপর রেগে টুইট ট্রাম্পের

আমেরিকার একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকের সাংবাদিক সার্জ কোভালেস্কির শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে গত বছর এক নির্বাচনী জনসভাতেই কুরুচিকর অঙ্গভঙ্গি করেন রিপাবলিকানদের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে ট্রাম্পের ক্ষমা প্রার্থনাও দাবি করেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে ট্রাম্প দাবি করেন, ওই সাংবাদিককে তিনি চেনেন না।

গ্লোল্ডেন গ্লোবের অনুষ্ঠানে সিসিল বি ডিমিল পুরস্কার পান চার বারের অস্কার জয়ী মেরিল। বেভারলি হিলের জাঁকজমকপূর্ণ মঞ্চে উঠে বিজয়ী ভাষণেই ট্রাম্পকে তুলোধোনা করেন তিনি। মেরিল বলেন, “চলতি বছরে একটা পারফরম্যান্সই আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। না! এটা যে খুব ভাল পারফরম্যান্স তা নয়। তবে তা খুব কার্যকরী হয়েছে।” দর্শকাসনের বসা অতিথিরা তখন দৃশ্যতই হতবাক। বোঝা যাচ্ছিল মেরিল কোন ঘটনার কথা বলতে চলেছেন। মেরিল বলেন, “সে সময় এমন এক জন ব্যক্তি ওই প্রতিবন্ধী সাংবাদিককে ব্যঙ্গ করেছিলেন যিনি আমাদের দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসনে বসার দাবি করছেন। যিনি সুযোগসুবিধা, ক্ষমতার দিক থেকে ওই সাংবাদিকের থেকে অনেক বেশি উঁচুতে ছিলেন। ওই ছবি দেখে আমার মন ভেঙে গিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তা কিছুতেই ভুলে যেতে পারছি না। কারণ, সেটি কোনও সিনেমা ছিল না, ঘোর বাস্তব!” মেরিলের মতে, “অসম্মান অসম্মানকেই ডেকে আনে। হিংসার বদলে হিংসাই আসে। আর যখন কোনও ক্ষমতাবান ব্যক্তি তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যদের হেয় করেন তখন আমাদের সকলেরই হার হয়।”

আরও পড়ুন

ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কোরিয়ার হুমকি ওড়ালেন ট্রাম্প

মেরিলের ভাষণের পর দর্শকাসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে করতালিতে ভাসিয়ে অভিনন্দন জানান হলিউডের তাবড় খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা। তবে গোটা পর্বটি অস্বীকার করে স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এ নিয়ে তিনি একেবারেই বিচলিত নন। কারণ, এ ধরনের আক্রমণ কেবলমাত্র চলচ্চিত্র জগতের বেশ কিছু ‘উদারমনস্ক’ মানুষদের কাছ থেকেই আশা করা যেতে পারে। মেরিলকে হিলারিপ্রেমী বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। পাশাপাশি, তাঁর দাবি মেরিলের বিজয়ী ভাষণ শোনেননি তিনি। ট্রাম্পের দাবি, “আমি কখনই কাউকে ব্যঙ্গ করিনি।” উল্টে ট্রাম্প বলেন, “সকলেই এটা বলে চলেছে যে আমি ওই সাংবাদিকের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ব্যঙ্গ করেছি। যেন মেরিল স্ট্রিপ-সহ সকলেই আমার মনের কথা পড়তে পারেন!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Meryl Streep Donald Trump Golden Globe Speech
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE